বিয়ে আদৌ হবে কিনা ঠিক করে দেয় মুরগির মেটে
একটি ছোট মুরগির মেটে বা লিভার স্থির করে দেয় এক যুবক যুবতী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন নাকি পারবেননা। তাঁদের প্রেম ভালবাসা এখানে গুরুত্ব পায়না।
মুরগির মেটে বিষয়টি প্রায় সকলের জানা। যাঁরা মুরগির মাংস খান তাঁরা সেই মুরগির মেটেও খেয়ে থাকেন। কিন্তু খাওয়া এক আর ঘটকালি করা আর এক। যদিও মুরগি জানতেও পারেনা তার মেটে কীভাবে এক যুবক যুবতীকে সাতপাকে বেঁধে ফেলতে পারে। কিন্তু পারে যে তা বিলক্ষণ জানেন একটি জনজাতির মানুষজন।
সেখানে এক যুবক যুবতী তাঁদের পছন্দ করেন কিনা, তাঁরা বিয়ে করতে চান কিনা, তাঁদের পরিবার চায় কিনা, এসব কিছুই গুরুত্ব পায়না। বরং যুবক যুবতী যদি চানও, তাঁদের পরিবার যদি চায়ও, তাহলেও বিয়ে ভেস্তে যেতে পারে। কারণ পুরোটাই নির্ভর করছে ছোট মুরগির মেটের ওপর।
চিনে দাউর নামে এক আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে। এখানে বিয়ে হয় মুরগির মেটের ভরসায়। নিয়ম হল যখন কোনও যুবক ও যুবতী বিয়ে করতে চাইবেন, তাঁদের একটি ছোট মুরগি কাটতে হবে।
তারপর মুরগির দেহ থেকে তার মেটে বা লিভারটি বার করে আনতে হবে। এবার পর্যবেক্ষণের পালা। ওই মেটে পরীক্ষা করে যদি দেখা যায় সেই মেটে স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। তার আকার আয়তন সব ঠিক আছে। তাহলে বিয়ে হবে। দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে চারহাত এক করে দেওয়া হয়।
কিন্তু যদি মুরগি কাটার পর তার যকৃত বা মেটেটি আকার আয়তনে সঠিক বার না হয়, তাহলে চাইলেও বিয়ে বাতিল। তবে বাতিল মানে চিরতরে বাতিল এমনটাও নয়।
তাদের ফের একটি ছোট মুরগি খুঁজতে হয়। ফের তা কেটে মেটেটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। আর তা সঠিক আকার আয়তনের হলে আর বিয়েতে কোনও বাধা থাকেনা।