মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া হ্রদ থেকে মিলল ১২ কোটি বছর পুরনো ডিম
এক ধূধূ প্রান্তরের মরুভূমি। সেই মরুভূমির মাঝেই নাকি এক সময় ছিল টলটলে জলের হ্রদ। সেখান থেকেই মিলল ১২ কোটি বছরের পুরনো ডিম।
এ মরুভূমির যে দিকে ২ চোখ যায় শুধুই বালি আর বালি। জলের একটা বিন্দুরও দেখা মেলেনা। কিন্তু গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এখন এক বিখ্যাত মরুভূমি হলেও একটা সময় এখানেই ছিল টলটলে জলের বিশাল হ্রদ। সেই জলের চারধারে এক ধরনের উড়ন্ত সরীসৃপের বাস ছিল। এখানেই ছিল তাদের সাজানো সংসার।
প্রাগৈতিহাসিক হেমিপটেরাস টায়ানশানেনসিস নামে সেইসব উড়ন্ত সরীসৃপের এই হ্রদের ধারেই থাকার আরও কারণ ছিল প্রচুর খাবার। কারণ এরা সাধারণভাবে মাছ খেতে পছন্দ করত। আর হ্রদের জলে তাদের জন্য মাছের অভাব ছিলনা।
গবেষকদের মতে, ১২ কোটি বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগের এই প্রাণিদের সুন্দর জীবন একসময় তছনছ করে দেয় এক ভয়ংকর ঝড়। সেই ঝড়ে হ্রদের ধারে বাস করা সেইসব উড়ন্ত সরীসৃপ হ্রদের জলে গিয়ে পড়তে থাকে। তারপর সেখানেই ডুবে মৃত্যু হয় তাদের।
সে সময় এমনও অনেক পাখির মৃত্যু হয় যাদের পেটে ডিম ছিল। সেই অবস্থাতেই তাদের সমাধি হয়। তারপর বহু বছর ধরে তাদের দেহের ওপর কাদামাটি পড়তে থাকে। আর এভাবেই তাদের দেহ চাপা পড়ে হারিয়ে যায় মাটির তলায়।
একসময় ওই অঞ্চলে প্রকৃতির পরিবর্তনে হ্রদ যায় হারিয়ে। সেখানে ক্রমে একটি মরুভূমি জায়গা করে নেয়। যা এখন গোবি মরুভূমি নামে পরিচিত।
আর যে হ্রদটির কথা বলা হচ্ছে তা চিনের জিংজিয়াং প্রদেশে পড়ছে। সেখানেই মরুভূমিতে খনন চালিয়ে মাটির তলা থেকে প্রচুর জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছে। সবই ওই উড়ন্ত সরীসৃপের। উদ্ধার হয়েছে ২১৫টি ডিমও। যে ডিমগুলির অনেকগুলির মধ্যে ভ্রূণ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তার জীবাশ্মও স্পষ্ট দেখা গেছে।