চাঁদ নিয়ে দল ভারী করছে চিন, ভারতকে খোঁচা দিতে দলে অন্য দেশ
চাঁদে পাকাপাকি বেস বানাতে এবার চিন আরও ২টি নতুন দেশকে সঙ্গী করল। যা আদপে মহাকাশ বিজ্ঞানে সফল ভারতকে খোঁচা মারার কৌশল বলেই মনে করছেন অনেকে।
নাসা ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। সেখানে মানুষের উপস্থিতি তৈরি করে গবেষণার কথা ভাবছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এই উদ্যোগে তাদের সঙ্গে শামিল হয়েছে ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিলের মত দেশ।
অন্যদিকে নাসাকে টেক্কা দিতে এবার ওই ২০৩০ সালেই চাঁদের পাকাপাকি বেস বানানোর উদ্যোগ শুরু করেছে চিন। প্রাথমিকভাবে চিনের নেতৃত্বে এই মিশনে শামিল হয়েছিল রাশিয়া, আজারবাইজান, ভেনিজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার চিন আরও ২টি দেশকে সঙ্গী করল। একটি বেলারুশ এবং অন্যটি পাকিস্তান।
পাকিস্তানকে এই দলে শামিল করে চিন আদপে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানে অভিনব সাফল্যকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করল বলেই মনে করছেন অনেকে। পাকিস্তানকে সঙ্গী করে ভারতকে একটা টক্কর দেওয়ার চেষ্টা করল চিন।
ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টাও এটা বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারত এখন মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশ্ব মানচিত্রে অন্যতম নাম হয়ে সামনে এসে পড়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ সেন্টার তৈরির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ও চিনের প্রিমিয়ারের মধ্যে যে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে এই উদ্যোগে অনুশীলন সহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড, প্রদর্শন, বাস্তবায়ন ও প্রয়োগে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
যদিও পাকিস্তানকে যে এই প্রথম মহাকাশ বিজ্ঞানের কর্মকাণ্ডে চিন শামিল করল এমনটা নয়। এর আগে ২০২৪ সালে চাঁদে পাঠাতে চলা একটি মিশনেও পাকিস্তানকে শামিল করেছে তারা। যে মিশনে চিন চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনতে চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা