আশ্চর্য কৌশলে জুতো ফিরিয়ে দিল শিম্পাঞ্জি
জুতো পাওয়ার আশা প্রায় ছিলই না। সকলেই মনে করছিলেন ও জুতো আর গেছে। কিন্তু আশ্চর্য ভাবে জুতো ফিরিয়ে দিল এক শিম্পাঞ্জি।
জুতোটা এক শিশুর। সেটাই প্রথমে মুখে চেপে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল সে। সে মানে ডং ডং। চারিদিক থেকে সকলে জোরে চিৎকার করছেন। অবশ্য এই আওয়াজ সে শুনে শুনে অভ্যস্ত। জানে ওটা তার ক্ষতি করার জন্য নয়।
জুতোটা তাই মুখে নিয়ে বেশ কিছুটা সময় সে সকলের দিকে চেয়ে দেখছিল। হয়তো বোঝার চেষ্টা করছিল যে কি বলতে চাইছে লোকগুলো! বুঝতে হয়তো কিছুটা পরে পেরেছিল।
তাই জুতোটা মুখ থেকে নিজের হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ায় সে। যে কাঠের পাটাতনের ওপর দাঁড়িয়েছিল সেখান থেকে লাফ দেয় একটা পাথরের ওপর।
তারপর জুতোটা নিয়ে একদম যেভাবে অনেকটা উঁচুতে কিছু ছুঁড়ে দিতে গেলে সেটাকে প্রথমে হাতে ধরে পিছনের দিকে টেনে নিয়ে তারপর জোর করে লক্ষ্যে ছুঁড়ে দিতে হয়। ঠিক সেটাই করল সে।
একদম মানুষের মত। আর লক্ষ্যও অব্যর্থ। জুতো এসে অনেকটা উঁচুতে দর্শকদের হাতে পড়ল। চিনের শানদং প্রদেশের একটি চিড়িয়াখানায় এক শিম্পাঞ্জির এই জুতো ফেরত এখন বিশ্বের সকলের জানা হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই সেই ছবি অনেক সংবাদমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ডং ডং নামে শিম্পাঞ্জিটি বরাবরই বুদ্ধিমান। সে এর আগেও দর্শকদের হাত থেকে পড়ে যাওয়া জিনিস তার ঘেরাটোপ থেকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছে এভাবেই। জুতো ফেরত প্রথম নয়।