চাঁদের অচেনা কোণে গর্ত করে নমুনা নিয়ে উড়ে গেল যান
চাঁদের একদম অচেনা জায়গা থেকে নমুনা নিয়ে এবার উড়ে গেল আরোহী যান। যানটি চাঁদ থেকে উড়ল অন্য লঞ্চপ্যাডের ভরসায়।
পৃথিবী থেকে মহাকাশে যখন কোনও যান পাঠানো হয় তখন তা পাঠানো হয় রকেটে করে। রকেট সেটিকে মহাকাশে পৌঁছে দেয়। এজন্য লঞ্চ প্যাড তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা অপেক্ষায় থাকেন এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে উৎক্ষেপণের পর যানটি মহাকাশে সঠিকভাবে পৌঁছল কিনা।
কারণ সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু চাঁদে তো আর উৎক্ষেপণ কেন্দ্র নেই। তাহলে সেখান থেকে কোনও যানকে উৎক্ষেপণ কীভাবে করা যাবে? এজন্য এক অন্য রাস্তা নিল চিন। চিনের চ্যাঙ্গই ৬ মিশনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কখনও না পৌঁছনো স্থানে পৌঁছে চিনের আরোহী যানটি খনন শুরু করে। মাটি খুঁড়ে নমুনা সংগ্রহ করে বিশেষ পাত্রে ভরে নেয়।
এমন একাধিক স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করার কাজটা করে একটি রোবট। ড্রিল করা, নমুনা বিশেষ পাত্রে ভরে ফেলা সবই করে রোবট।
এরপর সেই আরোহী যানকে চাঁদের মাটি থেকে ফের চাঁদের কক্ষে থাকা অরবিটার রিটার্নার-এর দিকে উৎক্ষেপণ করে ল্যান্ডারটি। ল্যান্ডারটিই সেক্ষেত্রে লঞ্চপ্যাডের কাজ করে।
আরোহী যান পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষে ঘুরতে থাকা অরবিটার রিটার্নারের কাছে। তারপর সেখান থেকে নমুনা বিশ্বের মাটিতে ফেরার কথা। তবে তার জন্য একটি সময় লাগবে।
কক্ষে পাক খেতে খেতে এই অরবিটার রিটার্নার একসময় পৃথিবীর দিকে যাত্রা শুরু করবে। তারপর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে চাঁদের নমুনা নিয়ে রিটার্নার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা