তৈরি হল ইতিহাস, চোর চুরি করে সুপরামর্শ দিয়ে গেল, রেখে গেল নিজের নম্বর
এমন চোর দেখতে পাওয়া যায়না। চোরদের জগতে এ এক ইতিহাস তৈরি করেছে। চুরি করেছে। সুপরামর্শও দিয়েছে। আবার নিজের নম্বরও রেখে গেছে বিশেষ কারণে।
কৌশলগত দিক থেকে সে বেশ তুখোড়। নাহলে বন্ধ অফিসে এভাবে ঢুকে পড়তে পারত না। অফিসে ঢুকে সে চোর অফিসের সব মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপগুলিকে এক জায়গায় জড়ো করে। তারপর একটি ল্যাপটপে কিছু লেখে।
এবার সেই লেখা ল্যাপটপটি খোলা রেখে তার উপর বাকি মোবাইল ও ল্যাপটপ সাজিয়ে রেখে দেয়। তারপর এত ল্যাপটপের থেকে একটিমাত্র দামি ল্যাপটপ ও অত্যন্ত দামি ফোন নিয়ে সে চম্পট দেয়।
এই চুরির সময় ল্যাপটপে সে যা লিখে রেখে যায় তা দেখে পুলিশও তাজ্জব বনে যায়। ওই চোর অফিসের মালিকের উদ্দেশ্যে লেখে ওই ব্যক্তি যেন তাঁর অফিসের সুরক্ষা বন্দোবস্ত আরও পাকা করেন। সেটা নেই বলেই তো চোর ঢুকতে পেরেছে!
সেই সঙ্গে ওই চোর তার মোবাইল নম্বরটিও দিয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল কেনই বা সে সব ল্যাপটপ ও মোবাইল নিল না? কেনই বা সে তার ফোন নম্বর রেখে যাওয়ার ভুলটা করল? তার উত্তর চোর নিজেই লিখে যায়।
সে লেখে অফিসের সব ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন নিয়ে নিলে অফিস চালাতে অসুবিধা হতে পারত। তাই সে সব নিল না। একটি করে যে ল্যাপটপ ও মোবাইল সে নিয়েছে সেটা যদি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয় এবং তা ফেরতের দরকার পড়ে তাহলে অফিসের মালিক তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন।
সেজন্য সে তার ফোন নম্বরটিও রেখে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে চিনের সাংহাইতে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এই খবরটি করার পর নানা সংবাদমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।
ওই চোরকে অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজ ও তার দেওয়া ফোন নম্বর ধরে পুলিশ দ্রুত খুঁজে পায়। আপাতত তার জায়গা হয়েছে গারদের পিছনে।
তবে এই সজ্জন চোর কিন্তু নেটিজেনদের কাছে বেশ সম্মান পাচ্ছে। তবে কারও মতে, অফিসের সুরক্ষার কথা বললেও চোর বাবাজি নিজের পালানোকে সুরক্ষিত করতে অপারগ হয়েছে।