মনে করুন, আপনি মাছ খেতে বসেছেন। খাবার টেবিলে থরে থরে সাজানো ভাজা মাছ। জিভে জল, হাত করছে নিশপিশ। ভাজা মাছ তুলে তাতে কামড় বসানোয় খুব বেশি দেরি নেই। এমন সময় হঠাৎ একটা ভাজা মাছ উঠল নড়ে। তীব্র যন্ত্রণায় তার শরীর মুচরে মুচরে উঠছে। ভাবছেন গাঁজাখুরি গল্প আর কি? তাহলে ভুলটা ভেঙ্গে দিই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ গল্পের কাদম্বিনীর কথা মনে পড়ে? কাদম্বিনী দ্বিতীয়বার সত্যি সত্যি মারা গিয়ে প্রমাণ করেছিল সে মরেনি। চিনের হুনান প্রদেশের হেংইয়াং এলাকার এক রেস্তোরাঁর মাছও সেই কথাই যেন প্রমাণ করল।
গনগনে আগুনের তাপে তপ্ত তেলে ভাজা ভাজা হয়ে যাওয়ার পরও কিছু সময়ের জন্য পুনর্জীবন পেয়েছিল সে। যার ফলে মাছের পেটের কাছটা দু ফাঁক হয়ে যেতে দেখা যায়। এমন ভৌতিক কাণ্ড দেখে আতঙ্কে তখন চিৎকার জুড়ে দিয়েছেন রেস্তোরাঁয় উপস্থিত এক মহিলা। ২০১৭-র ডিসেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাজা মাছের জ্যান্ত হয়ে ওঠার সেই দৃশ্য প্রকাশ্যে আসতেই দেখা দেয় চাঞ্চল্য। জীবিত অবস্থায় মাছ ভাজার নিষ্ঠুর পন্থা নিয়ে অনেকেই সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। মাছগুলোকে আগে মেরে কেন তারপর ভাজা হল না? সেই প্রশ্নও তোলেন অনেকে।
আসলে জীবিত মাছটিকে ভালো করে ভাজা হয়নি। যার জন্য ক্রেতার পেটে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অর্ধ-মৃত মাছটির স্নায়ু সক্রিয় ছিল। এরফলেই ঘটে বিপত্তি। পরে অবশ্য রেস্তোরাঁর কর্মচারিরা আশ্বস্ত করেন ক্রেতাকে। ৫ মিনিট পরেই আবার ভালো করে জমিয়ে মাছ ভেজে উপস্থাপন করা হয় মৎস্যলোভী ক্রেতার সামনে।