চাঁদের মাটিতে জল, আগেই জানিয়েছিল ভারত, মাটি ঘেঁটে বলছে চিনও
চাঁদের মাটিতে কি জল আছে। এ প্রশ্ন অনেকদিনের। তাহলে এটাও পরিস্কার হয় যে চাঁদে একসময় জল ছিল। ভারত প্রথম চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্বের কথা জানায়।
২০০৯ সালে ভারতের চন্দ্রযান-১ এক সাড়া জাগানো তথ্য পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেছিল। চন্দ্রযান-১ জানিয়েছিল চাঁদের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে সেই অংশের মাটিতে জল মিশে আছে। চাঁদের মাটিতে ভারত জলের অস্তিত্বের কথা জানায়। যে জন্য ভারত রীতিমত বিশ্ব মহাকাশ বিজ্ঞানে তোলপাড় ফেলে দেয়।
তারপর ১১ বছর কেটে যাওয়ার পর ২০২০ সালে চিনের চ্যাঙ্গই ৫ মিশনের আওতায় চাঁদ থেকে মাটি আনতে সক্ষম হয় চিন। সেই মাটি পরীক্ষাও করেছেন চিনের গবেষকেরা। আর তাতেই তাঁরা মাটিতে জলের অস্তিত্ব দেখতে পেয়েছেন।
মাটিতে মিশে আছে জলের অণু। চাঁদের মাটি পরীক্ষা করে যে খনিজ পাওয়া গিয়েছে, সেই খনিজের সঙ্গেই মিশে আছে জলের অণু। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এই খবরটি প্রকাশ করেছে। যা দেখে এটা মনে করা হচ্ছে একসময় চাঁদের মাটিতে জল থাকলেও থাকতে পারে।
চাঁদের গায়ে যে সুবিশাল গর্তগুলি রয়েছে সেগুলিকে ক্রেটার বলে। সবচেয়ে বড় ক্রেটারগুলির একটি হল ক্ল্যাভিয়াস। এই ক্ল্যাভিয়াস ক্রেটারে জলের অণুর খোঁজ পায় নাসা।
চাঁদ বা মঙ্গলে কি একসময় জল ছিল? এ রহস্য উদ্ঘাটনে অনেকটাই আগুয়ান হয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। চাঁদে আর্টেমিস মিশনে মানুষ পৌঁছতে চলেছে। সেখানে মানুষ পৌঁছতে পারলে চাঁদের অনেক রহস্য যা এখন যন্ত্রের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হচ্ছে, তা হাতেনাতে প্রমাণের সুযোগ আসবে।
এমনকি চাঁদ সম্বন্ধে যে ধারনা এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে, চাঁদে পৌঁছে সেখানে ঘুরে পরীক্ষা করতে পারলে সেই সব ধারনার অনেকগুলিতে পরিবর্তন আসা অস্বাভাবিক হবেনা।