মুখে বসা মাছির জন্য নষ্ট হয়ে গেল চোখ
এ ঘটনা সকলকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। কারণ যা ঘটেছে তা যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে ঘটা এমন ঘটনায় এই পরিণতি ভাবতেই পারছেন না কেউ।
মাছি তো বাড়িতে দেখতেই পাওয়া যায়। মশা, মাছি থেকে রেহাই আর কোন পরিবার পায়! মশা, মাছির সঙ্গেই কাটে জীবন। মশা মারতে যদিও বা মানুষ নানা উপায় অবলম্বন করেন, মাছি নিয়ে তেমন মাথাব্যথা কারও থাকেনা। বরং মাছি দেখলে উড়িয়ে দিয়ে ক্ষান্ত হন।
ওই ব্যক্তিরও মুখের সামনে একটি মাছি উড়ছিল। বিরক্ত করছিল। কয়েকবার তিনি উড়িয়েও দেন মাছিটাকে। কিন্তু নাছোড় মাছি ফের ফিরে আসে। এবার মাছিটি মুখের ওপর এসে বসে।
ওই ব্যক্তি এবার বিরক্ত হয়ে মাছিটি মুখে বসতেই সেটিকে শেষ করে দেন। একটা মাছির প্রাণ কাড়ার কথা মানুষের মনেও থাকেনা। কিন্তু ওই ব্যক্তির চোখে একটা জ্বালা শুরু হয়। যা বাড়তে থাকে। তিনি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। প্রাথমিকভাবে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হচ্ছিল না। বরং যন্ত্রণা বাড়তেই থাকে।
একটা সময়ের পর তাঁকে ভাল করে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন যে তাঁর চোখে এমনভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে যে সেই সংক্রমণ সারানোর উপায় নেই। তা বাড়তেই থাকবে।
এমনকি একটা সময় তা মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়বে। যাতে তা চোখ থেকে অন্যত্র ছড়াতে না পারে সেজন্য তাঁর ডান চোখটি বাদ দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। সেইমত তাঁর ডান চোখের আইবলটি বার করে নেওয়া হয়।
এই শিউরে ওঠার মত ঘটনাটি ঘটেছে চিনের শেনঝেন-এ। শেনঝেনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি যখন মাছিটি মুখে বসার পর শেষ করেন, তখনই তার থেকে কোনও রস চোখে এমনভাবে সংক্রমণ তৈরি করে যা সারানোর কোনও ওষুধই নেই।
যে মাছি থেকে এটা ঘটে সেটি প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একটু স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় উড়তে দেখা যায়। চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।