World

সর্দির সঙ্গে বার হল আরশোলা, স্তম্ভিত চিকিৎসকেরা

এক ব্যক্তির গলায় একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। তার সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ বেড়ে চলছিল। দাঁত মেজেও কিছু হচ্ছিল না। এরপর চিকিৎসক যা দেখলেন তাতে তিনি স্তম্ভিত।

ঘটনার সূত্রপাত মাঝরাতে। ঘুমটা ভেঙে যায় নাকের মধ্যে একটা অনুভূতিতে। তাঁর মনে হয় নাকের মধ্যে কেউ যেন খুঁটছে। নাকটা ঝাড়ার চেষ্টা করতে সেটা নাকের মধ্যে দিয়ে পৌঁছয় গলায়। তিনি এবার ঘুম থেকে উঠে বেশ কয়েকবার কাশেন। যাতে গলার কাছে কিছু থাকলে বেরিয়ে যায়। তারপর শুয়ে পড়েন।

পরদিন তিনি ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মতই জীবন কাটান। কিন্তু গলার কাছে একটা অনুভূতি অস্বস্তি দিচ্ছিল। সেই সঙ্গে তিনি অনুভব করতে থাকেন যে তাঁর মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বার হচ্ছে।


একাধিকবার দাঁত মেজেও মুখের দুর্গন্ধ থামানো যাচ্ছেনা। বরং তা বেড়েই চলেছে। এমন করে ৩ দিন কাটার পর যখন তাঁর হলুদ সর্দি বার হতে থাকে তখন তিনি চিকিৎসকের কাছে হাজির হন।

প্রাথমিকভাবে তাঁর শ্বাসনালীর উপরের অংশ পরীক্ষা করা হয়। তাতে কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁর বুকের সিটি স্ক্যান করান। সেখানে তিনি ফুসফুস লাগোয়া শ্বাসনালীর নিচের অংশে একটা কিছু আটকে আছে বলে দেখতে পান।


পরে তা বার করার সময় যা দেখা যায় তাতে চিকিৎসকও কিছুক্ষণের জন্য থমকে যান। দেখা যায় একটি আরশোলা ফুসফুস লাগোয়া অংশে মোটা সর্দির মত জিনিসে জড়ানো অবস্থায় আটকে আছে। সেটিকে অতি সন্তর্পণে বার করে আনা হয়।

এরপর খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই ব্যক্তি। মুখের দুর্গন্ধও উধাও হয়। চিনের হাইনান প্রদেশের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন ৩ দিন আগে রাতে তাঁর নাক দিয়ে আরশোলাটি ঢুকে একদম শ্বাসনালীর শেষ অংশে পৌঁছে গিয়েছিল। এই ঘটনাটির খবর চিনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button