৩ হাজার ৬০০ বছর পুরনো পনিরের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা
৩ হাজার ৬০০ বছর আগেও পনিরের প্রচলন ছিল। যার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে উদ্ধার হওয়া একটি মমি-র গলার কাছে। তবে মমিটি মিশরের নয়।
একটি মমি অনেক কথা বলে দিয়ে গেল। বিশ্বকে এটাও জানান দিল যে ৩ হাজার ৬০০ বছর আগেও এ পৃথিবীর বুকে পনির খাওয়ার চল ছিল। তার মানে সে সময় দুগ্ধজাত খাদ্যের প্রচলনও ছিল। এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
একটি মমি উদ্ধারের পর তার গলার কাছে এবং আশপাশে পনির ছড়িয়ে থাকার নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এ পর্যন্ত পড়ে যদি কারও মনে হয় যে তার মানে সে সময় মিশরে পনিরের চল ছিল, তাহলে ভুল হবে।
কারণ এ মমি মিশরে পাওয়া যায়নি। পাওয়া গিয়েছে চিনে। চিনের বিজ্ঞানীরা মমির গায়ে এই পনিরের হদিশ পেয়েছিলেন বছর ২০ আগেই।
তারপর তা পরীক্ষা করা শুরু হয়। অবশেষে সেটির ডিএনএ পরীক্ষার পর সেই নমুনায় প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার হাজার হাজার বছর ধরে বেড়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
উত্তর পশ্চিম চিনের জিয়াওয়ে সমাধিস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া এই মমির গলা ও মাথার কাছে এই পনিরের নমুনা দেখতে পান বিজ্ঞানীরা। বিষয়টি অবাক করা ছিল।
ব্রোঞ্জ যুগে এভাবে দুগ্ধজাত উপাদানের ব্যবহার যে ছিল তা বিজ্ঞানীদের চমকিত করে। তারপর তার পরীক্ষা শুরু হয়। চিনের ওই মমির আশপাশে পাওয়া পনিরই যে বিশ্বে এখনও পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে পুরনো পনির তা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এটা সকলের জানা যে মমি করে দেওয়া দেহের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার করার জন্য নানা জিনিসপত্র, খাবার দিয়ে দেওয়া হত। বিশ্বাস করা হত যে সেই দেহ তার অন্য পারলৌকিক জীবনে তা ব্যবহার করবে।
যে মহিলার মমির আশপাশে ওই পনিরের নমুনা পাওয়া গিয়েছে তাঁর ক্ষেত্রেও সেটা ভেবেই পনির দেওয়া বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবর রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে।