পিকিং মানবের হাড়গোড় এখন কোথায় আছে, সে এক অবিশ্বাস্য কাহিনি
পিকিং মানবের কথা তো সকলেই পাঠ্যবইয়ের পাতায় পড়েছেন। সেই পিকিং মানবের হাড় উদ্ধারের পর তা এখন কোথায়। এ তো দেখার মত এক জিনিস।
পিকিং মানব, ধরা হয় এরা ৭ লক্ষ ৮০ হাজার বছর আগে থেকে ৪ লক্ষ বছর আগে পর্যন্ত এই পৃথিবীর বুকেই ঘুরে বেড়াত। ১৯২১ সালে চিনের বেজিং, যার আগে নাম ছিল পিকিং, তা থেকে কিছুটা দূরে ঝোউকোউদিয়ান গ্রামের একটি গুহা থেকে উদ্ধার হয় কিছু হাড়, চোয়াল, করোটির অংশবিশেষ। অবশ্যই জীবাশ্ম আকারে।
সেগুলি পরীক্ষা করার পর মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস নড়ে যায়। আদি মানব হিসাবে পিকিং মানবের নাম উল্লেখিত হতে থাকে। হোমো ইরেক্টাস গোষ্ঠীর এই আদি মানবদের মাথাটা হত কিছুটা চ্যাপ্টা। কপাল হত খুব ছোট।
এই যে জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছিল চিনের ওই গুহা থেকে, সেগুলি যত্নের সঙ্গে চিনেই সংরক্ষিত করা হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেই হাড়গুলি চিন থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় বলে শোনা যায়।
সেই সময় তা হয়তো জলপথেই পাচার হচ্ছিল। এমন অনুমান যে জলেই কোনওভাবে সেই হাড় হারিয়ে যায়। তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। অবশ্য আরও একটি তত্ত্ব শোনা যায়।
সেই তত্ত্ব অনুযায়ী এই হাড়গুলির জীবাশ্ম চিনেই কোথাও পুঁতে ফেলা হয়েছিল, সেগুলিকে জাপানের হাত থেকে রক্ষা করতে। কিন্তু নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারেননা পিকিং মানবের সেই উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়ের জীবাশ্ম গেল কোথায়!
তবে তা আর কখনওই খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশ্য পিকিং মানবদের ব্যবহৃত জিনিস এবং তাদের আরও জীবাশ্মের খোঁজ চলতে থাকে। কিছু পাওয়ায়ও যায়।