প্রেমের টানে একদেশ থেকে অন্যদেশে ডেলি প্যাসেঞ্জারি, এটাও সম্ভব
প্রেমের টানের এক অসামান্য উদাহরণ হয়ে রইল এই কাহিনি। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে প্রতি সপ্তাহে একদেশ থেকে অন্যদেশে ছুটোছুটি করে গেছেন যুবক।
প্রেমের টানে মানুষ যে কতদূর কি করতে পারেন তার একটা বাস্তব ছবি কল্পনার কাহিনির মত সামনে এল। যা জানার পর সারা বিশ্ব ওই যুবকের প্রেমের টানকে সেলাম জানাচ্ছে।
প্রেমিক প্রেমিকা ২ জনই চিনের বাসিন্দা। তবে তাঁরা পড়াশোনা করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে। জুলাইতে প্রেমিকার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাঠ শেষ হয়। ফলে ওই তরুণী তাঁর নিজের দেশ চিনে ফিরে আসেন।
কিন্তু প্রেমিক জু গুয়াংলি-র তখনও শেষ সেমিস্টার শেষ হওয়া বাকি। তাই তিনি স্থির করেন এভাবে প্রেমিকাকে ছেড়ে তিনি থাকতে পারবেননা। প্রতি সপ্তাহে তিনি প্রেমিকার সঙ্গে একবার দেখা করবেন।
কিন্তু সেজন্য তো অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে চিনের দেঝুতে আসতে হবে! জু স্থির করেন সেটাই করবেন। প্রতি সপ্তাহে তিনি অস্ট্রেলিয়া ও চিনের মধ্যে যাতায়াত চালিয়ে যাবেন। কিন্তু সে তো বহু টাকা খরচের ব্যাপার! তারপর সময়ও একটা বড় বিষয়। যাতায়াতে ৩ দিন করে লেগে যাবে।
প্রেমিকার সঙ্গে একবার দেখা করার চেয়ে এসব কিছুই বড় নয়। জু শুরু করেন যাতায়াত। গত অগাস্ট মাস থেকে তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ হওয়া পর্যন্ত এমন একটাও সপ্তাহ যায়নি জু এই অস্ট্রেলিয়া চিন সাপ্তাহিক যাতায়াতে খামতি দিয়েছেন।
প্রতিবার বিমানে যাতায়াত ও অন্য খরচ নিয়ে জুকে লক্ষাধিক টাকা করে খরচ করে যেতে হয়। যদিও সেই টাকা যে তাঁর প্রেমিকাকে একবার দেখার চেয়ে বড় নয় তা পরিস্কার করে দিয়েছেন জু।
২৮ বছরের ওই যুবক মেলবোর্ন থেকে বিমানে তাঁর চিনের বাড়িতে পৌঁছে, তারপর সেখানে প্রেমিকার সঙ্গে একটা দিন কাটিয়ে ফের ফিরতেন অস্ট্রেলিয়া। সব নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন তাঁর যাতায়াতেই কেটে যেত।
অক্টোবরে জু তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করে এখন অবশ্য চিনে। আর তাঁকে যাতায়াত করতে হয়না। কিন্তু তাঁর কাহিনি বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে। তাঁর এই অসামান্য প্রেম কাহিনি জানার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে।