SciTech

অপরূপ সুন্দরী এক ডাইনোসর, রয়েছে প্রেমে পড়ার সম্ভাবনা

ডাইনোসরের রূপ নিয়ে প্রচলিত ধারনাই বদলে দিল এক আবিষ্কার। ১৬ কোটি বছর আগে জুরাসিক যুগে ঘুরে বেড়াত দেখতে সুন্দর ডাইনোসরেরাও।

ডাইনোসরাস, শব্দটা উচ্চারণ মাত্রই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক বিশাল চেহারার দানবাকার প্রাগৈতিহাসিক জীবের অবয়ব। সেই ধারনাই এবার পাল্টে ফেলতে হবে সকলকে। অন্তত বিজ্ঞানীদের খোঁজ সেই দাবিই করছে।

ডাইনোসর মানেই যে তাকে দেখতে ভয়ানক হবে, এমনটা নয়। মাথায় আর বুকে হাল্কা রঙের ছোঁয়া। পিঠের দিকের পাখনায় রামধনু রঙের বাহারি ছিটে। মাথায় রঙিন ঝুঁটি।


দৈহিক গঠন দেখে পাখি বলে ভ্রম হয়। ১৬ কোটি বছর আগে জুরাসিক যুগের বুক রঙিন করে ঘুরে বেড়াত সুন্দরদর্শন ডাইনোসরেরাও।

২০১৪ সালে চিনের হেবেই প্রদেশে এক কৃষকের প্রথমে নজরে আসে রঙিন ডাইনোসরের জীবাশ্মটি। যা পরে হাত ঘুরে আসে জীবাশ্মবিদদের কাছে।


জীবাশ্মটি যে ডাইনোসরের, তার একটি নামও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ‘চাইহং জু’ নামের মাংসাশী জীবের জীবাশ্ম পরীক্ষা করে তাজ্জব বনে যান বিজ্ঞানীরা। হাঁসের মতো গড়ন অথবা হামিংবার্ডের মতো রঙের বৈচিত্র্যে ভরপুর। ২ রকম বৈশিষ্ট্যই ছিল ‘চাইহং জু’-য়ের মধ্যে।

তবে ‘চাইহং জু’-য়ের রঙিন ডানা ঠিক কি কাজে ব্যবহার হত সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। সম্ভবত ‘চাইহং জু’ ও তার বাকি সদস্যদের পাখনা শরীর গরমের কাজে আসত। আর উষ্ণ ডানার সাহায্যে তারা উড়ে বেড়াত অরণ্যের এক গাছ থেকে আরেক গাছে।

সম্ভবত রঙের পার্থক্যও বুঝত ‘চাইহং জু’ ও তার স্বজাতিরা। অন্যান্য ছোট সরীসৃপ ছিল তাদের পছন্দের খাবার। তবে রঙিন ডাইনোসরের সন্ধান এই প্রথম নয়, এর আগে ‘মাইক্রো ব়্যাপটর’ প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্মের খোঁজ পেয়েছিলেন জীববিদরা। যাদের দেহেও রঙের ছোঁয়ার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button