World

ধনী ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে দেখিয়ে আত্মীয়দের ঠকিয়ে কয়েক কোটি টাকা পকেটে পুরলেন মহিলা

তাঁর সঙ্গে এক ধনী ব্যবসায়ীর বিয়ে হয়েছে। সেই নকল বিয়ে দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মীয়দের ঠকিয়ে পকেটস্থ করলেন মধ্যবয়সী মহিলা।

কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে ২০১৪ সালের দিকে তাকিয়ে দেখলে দেখা যায় এক বছর ৪০-এর মহিলার সে সময় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তিনি একটি ফন্দি আঁটেন।

আত্মীয়দের জানান, তাঁর বয়স বেড়ে যাচ্ছে। তাই বাবা মা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তিনিও রাজি হয়েছেন। বিয়ে করতে চলেছেন তিনি। কাকে বিয়ে করছেন?


ওই মহিলা আত্মীয় পরিজনদের কাছে বেশ ফলাও করে প্রচার করেন তিনি বিয়ে করছেন এক ধনী রিয়েল এস্টেট এজেন্সির মালিককে। পাত্র হিসাবে মহিলা এক গাড়িচালকের সঙ্গে চুক্তি করেন। সেই গাড়িচালক তাঁর ধনী স্বামী সেজে মহিলাকে বিয়ে করেন।

এই বিয়ে যে মেঙ্গ নামে চিনের সাংহাইয়ের বাসিন্দা ওই মহিলার হাতে অনেক ক্ষমতা এনে দিয়েছে তাও প্রচার করেন তিনি। জানান তিনি অনেক দামি দামি ফ্ল্যাট অর্ধেক দামে আত্মীয়দের কেনার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।


কারণ তাঁর স্বামী সে ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। এভাবে বোঝানোর পর এবং কিছু দামি ফ্ল্যাট ঘুরিয়ে দেখানোর পর ৫ জন আত্মীয় মহিলার কথা বিশ্বাস করেন। তাঁরা টাকা ঢালা শুরু করে দেন।

তাঁদের কাছ থেকে চিনের মুদ্রায় মেঙ্গ এবং তাঁর সাজানো বর যে টাকা পকেটস্থ করেন তার পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি টাকার মতন। এরপর সময় কাটতে থাকে। কিন্তু কেউই তাঁদের ফ্ল্যাট হাতে পাননি।

চাপ দিলে মেঙ্গ জানাতে থাকেন কম দামে দিতে হচ্ছে বলে কিছু ছোটখাটো সমস্যা হচ্ছে। তা কাটিয়েই ফ্ল্যাট হস্তান্তর করে দেওয়া হবে। এভাবে বছরের পর বছর চলায় এক আত্মীয়ের সন্দেহ হয়।

তিনি সব দিকে খোঁজ করে জানতে পারেন ফ্ল্যাট বিক্রি তো দূর মেঙ্গ নিজেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। এরপরই সকলে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ মেঙ্গ ও তাঁর সাজানো স্বামীকে গ্রেফতার করে।

আদালত তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে মেঙ্গকে ১২ বছর এবং তাঁর নকল স্বামীকে ৬ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। চিনের এই ঘটনার কথা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে জায়গা পায় এই ঠগবাজির কাহিনি।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button