আর একটু হলেই বাবাকে জেলে পাঠাচ্ছিল ছোট্ট ছেলে, ঠিক কি হয়েছিল
সোজা পুলিশকে ফোন করে দেয় ছোট্ট ছেলেটি। তার অভিযোগ তার বাবার বিরুদ্ধে। পুলিশ এলে বাবাকেই জেলে ভরার উপক্রম করেছিল শিশুটি।

পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। পুলিশের এক আধিকারিক ফোন ধরার পর ওপার থেকে একটি ছোট ছেলের কণ্ঠস্বর শুনতে পান। তার অভিযোগ ছিল তাদের বাড়িতে এক খারাপ লোক থাকে। যে তার টাকা কেড়ে নিয়েছে।
বাড়িতে খারাপ লোক, পুলিশের কাছে একটি শিশুর ফোন। বিষয়টি খুব হালকা ভাবে নেননি ওই আধিকারিক। যে বাড়ি থেকে ফোনটি এসেছিল সেখানে এক পুলিশ আধিকারিক দ্রুত পৌঁছে যান।
পুলিশ আধিকারিককে দেখে যারপরনাই খুশি হয় ওই বালক। জানায় সেই ফোন করেছিল। আর তার পুলিশ কাকু তার ফোন পেয়ে খুব তাড়াতাড়িই এসে পৌঁছেছেন।
এরপর সে আঙুল দেখিয়ে ওই পুলিশ আধিকারিককে জানায় সে যে খারাপ লোকের কথা বলছিল সে তার বাবা। শিশুটির বাবা খুবই অপ্রস্তুত অবস্থায় পৌঁছে যান। ছেলের কাণ্ডে এবার না তাঁকে পুলিশ পাকড়াও করে! সেই পরিস্থিতি প্রায় তৈরি হয়ে যায়।
ঘটনার সূত্রপাত চিনের নববর্ষকে সামনে রেখে। চিনে নববর্ষ পালনের সময় ছোটদের লাল খামে করে বড়রা অর্থ দিয়ে থাকেন। সেই টাকা যাতে ছোটরা নষ্ট না করে ফেলে বা ভুল কোথাও খরচ না করে ফেলে, তাই তা সযত্নে রেখে দেন তাদের বাবা মা।
সেটাই ওই ব্যক্তিও করেছিলেন। আর তাতেই তাঁর ছেলের রাগ। তার দাবি, ওই টাকা তার। তাই তার কাছেই ওই টাকা থাকবে। বাবা নিলে হবেনা। যেহেতু বাবা ওটা তাকে ফেরত দেননি, তাই সে সোজা পুলিশেই ফোন করে বসে।
পুলিশ আধিকারিক পুরো বিষয়টি বুঝে চিনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি জানান, তিনি যেন আগামী দিনে ছেলেকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলেন যে সে এমন কাজ আর না করে বসে।
ছেলের কাণ্ডে ওই ব্যক্তিও পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। বিষয়টি ওখানেই মিটে যায়। তবে এই ঘটনা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট নামে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।