‘যত্রতত্র প্রস্রাব করিবেন না’। ‘এখানে মূত্রত্যাগ করা নিষেধ’। এলাকা পরিস্কার রাখতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় এইধরনের উপদেশমূলক বার্তা হামেশাই সকলের চোখে পড়ে। পার্ক, খোলামেলা স্থান বা রাস্তার ধারে কিছু মানুষের মূত্রত্যাগের প্রবণতা খুব বেশি। ওই সব জায়গায় বেশি করে চোখে পড়ে প্রস্রাব না করার আবেদনমূলক দেওয়াল লিখন। কিন্তু বহুতলের লিফটে তো আর মূত্রত্যাগ না করার কোনও নির্দেশ থাকে না। তাই ফাঁকা লিফটে প্রস্রাব করতে দ্বিতীয়বার ভাবেনি এক কিশোর। লিফটে আর কোনও ব্যক্তি নেই। এদিকে জোরে প্রস্রাবও পেয়েছে। মাথার মধ্যে দুষ্টবুদ্ধি খেলে যায় ওই কিশোরের। অভিযোগ, লিফটের ভিতরেই প্যান্টের জিপ খুলে মূত্রত্যাগ করা শুরু করে দেয় সে। মূত্র দিয়ে খেলার ছলে লিফটের সবকটা বোতামকে ভিজিয়ে দেয়। তারপর ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না-র মত মুখ করে লিফট থেকে বেরিয়ে যেতে চায় সে। কিন্তু কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবেনা তাও কি হয়!
কিশোরের মূত্রে ভিজে গিয়ে ততক্ষণে দপদপ করতে শুরু করে দিয়েছে লিফটের বোতাম। বন্ধ হয়ে গেছে লিফটের দরজা। ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে ভরে গেছে লিফটের কামরা। এতেই ভয়ে গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় কিশোরের। বিকল বোতামগুলি বারবার টিপে লিফট সচল করার চেষ্টা করতে থাকে সে। বেশ কিছুক্ষণ পর লিফটের দরজা অবশ্য খুলেও যায়। বহুতলের নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচে কিশোর। কিন্তু তার জানা ছিল না, লিফটের সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়ে গেছে তার সমস্ত অপকর্ম। চিনের চনকিঙ শহরের বহুতলের লিফটে কিশোরের অশালীন আচরণের সেই ভিডিও আপলোড করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও দেখে তো চটে লাল হয়ে যান চিনের বাসিন্দারা। এমন বেয়াদব ছেলেকে সঠিক শিক্ষা দিতে না পারার জন্য কিশোরের অভিভাবককে এক হাত নেন চৈনিক নেটিজেনরা। লিফট বিকল করে দেওয়ার জন্য কিশোরের পরিবারের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন নেটিজেনদের একাংশ।