পিএইচডি করা ছেড়ে আলুভাতের স্টল চালাচ্ছেন মেধাবী ছাত্র, সেখানেও তিনিই সেরা
দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র তিনি। বরাবর নজরকাড়া রেজাল্ট। করছিলেন পিএইডি। কিন্তু মাঝপথেই তা ছেড়ে দিয়ে এখন আলুভাতের স্টল চালাচ্ছেন ওই তরুণ।

বাবা খনিতে কাজ করতেন। অতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে তিনি। অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা। কিন্তু পড়াশোনায় তিনি প্রথম থেকেই সেরা। ফলে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান তিনি। স্নাতক স্তরে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তরে আরও নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি সুযোগ পান পড়ার।
সেখানে পড়াশোনা করার সময় এক শিক্ষকের কোপে পড়েন ওই মেধাবী তরুণ। মানসিক চাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া ছেড়ে দেন। মার্কিন মুলুকে স্কলারশিপ পেয়ে পিএইচডি করা শুরু করেন। কিন্তু সেটাও থামাতে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কোপে পড়ে।
এরপর চিনের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সিচুয়ান প্রদেশের লেশানের বাসিন্দা ফেই য়ু পড়াশোনায় ইতি টেনে দেন। ২৪ বছরের ফেই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা ছাড়াই মাস্টার্স করার সুযোগ পেয়ে পড়ছিলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই একটি খাবারের স্টল শুরু করেন।
সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই রাস্তার ধারে তিনি স্টল খুলেছেন। যেখানে তিনি আলুভাতের বিভিন্ন সুস্বাদু পদ বিক্রি শুরু করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর এই স্টলও সকলের নজর কেড়ে নেয়। তাঁর পড়াশোনার জীবন যেমন ছিল বর্ণময়, সাফল্যে ভরপুর, তেমনই তাঁর আলুভাতেও অনবদ্য স্বাদে সকলের মন ভরাতে সময় নেয়নি।
পড়াশোনার জীবনে আরও বড় সাফল্য পাওয়াটা ছিল ফেইয়ের জন্য সময়ের অপেক্ষা। এতটাই মেধাবী তিনি। কিন্তু তিনি এখন তাঁর এই নতুন জীবন নিয়েও খুশি।
দুপুরে ঘণ্টা চারেক লাগে তাঁর নানা পদ তৈরি করতে। তারপর বিকেলে স্টলে তা বিক্রি করেন। যা শেষ হয়ে যায় ২-৩ ঘণ্টায়। তাঁর এই খাবারের স্টলেও লম্বা লাইন পড়ে মানুষের।
খবরটি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট নামে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের অগুন্তি সংবাদমাধ্যমেও। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ফেই-য়ের কাহিনি হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে।