২০১৭ সালে তিনি নাকি গিয়েছিলেন এক ভবিষ্যৎবক্তার কাছে। ৭০ বছর বয়স তাঁর। ফলে মৃত্যু কবে সে প্রশ্নটাই ছিল প্রধান। ভবিষ্যৎবক্তা নাকি সে সময়ে তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ২০১৭-ই শেষ। ২০১৮ সাল আর দেখা হবে না ওই বৃদ্ধার। চিনের সিচুয়ান প্রদেশের মিয়াংইয়াংয়ের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা সেই ভবিষ্যৎ শুনে এসে ২০১৭ সালের প্রতিটি মুহুর্ত কাটাতে থাকেন দুশ্চিন্তায়। এই বুঝি তিনি মারা গেলেন! সেই আতঙ্ক তাঁকে তাড়া করে বেড়াত। যতই ২০১৮ এগিয়ে এসেছে ততই তাঁর ‘আসন্ন মৃত্যু’ নিয়ে স্নায়ুর চাপ বেড়েছে। কিন্তু ২০১৮ পড়ে যাওয়ার পরও বহাল তবিয়তে তিনি বেঁচে থাকায় প্রথমে খুশি হন বৃদ্ধা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। তারপর ঠিক করেন ভুলভাল ভবিষ্যৎ কথনের জন্য ভবিষ্যৎবক্তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেবেন তিনি।
ওই ভবিষ্যতবাণীর জন্যই তো তাঁর ২০১৭ সালটা চরম উদ্বেগে কেটেছে। হালে তিনি ওই ভবিষ্যৎবক্তার দোকানে হানাও দেন। তারপর তুমুল ভাঙচুর চালান সেখানে। তছনছ করে দেন গোটা দোকান। পরে পুলিশি মধ্যস্থতায় অবস্থা আয়ত্তে আসে। বৃদ্ধা শান্ত হন। চিনা সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত এই খবর রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে। লোকের মুখে মুখে ঘুরছে এই কাহিনি।