দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে ঠিকমত লাফালাফি করেনি সে। বরং দর্শকদের ডাকাডাকিতে সাড়া না দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমচ্ছিল। এটাই ছিল তার মস্ত অপরাধ! আর সেই লঘু অপরাধের জন্য চরম শাস্তিও পেল সে। অভিযোগ, ঘুম থেকে উঠে যাতে সে লাফালাফি করে তাঁদের মন ভরায়, স্রেফ এই কারণে একটি ক্যাঙ্গারুকে নৃশংসভাবে খুন করলেন কয়েকজন দর্শক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১২ বছর বয়সী স্ত্রী ক্যাঙ্গারুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। প্রস্তরখণ্ডের আঘাতে কিডনি ফুটো হয়ে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ক্যাঙ্গারুটির মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, ক্যাঙ্গারুদের বিরক্ত করতে দর্শকদের নিষেধ করা হয়েছিল। তখনকার মত ছেড়ে দিলেও পরে অন্য কোণা থেকে কয়েকজন দর্শক ওই ক্যাঙ্গারুটিকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলে। পাশবিক প্রবৃত্তিকেও লজ্জা দেওয়া, মানুষের এমন ন্যক্কারজনক আচরণের ঘটনাটি ঘটেছে চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের ফুজোউ চিড়িয়াখানায়। তাও অনেকদিন হল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই ঘটনা ঘটার পর সম্প্রতি সেই নৃশংস ঘটনা সামনে আসায় তুমুল শোরগোল পড়েছে দুনিয়ার পশুপ্রেমীদের মধ্যে। এর আগেও ফুজোউ চিড়িয়াখানায় ৫ বছরের একটি ক্যাঙ্গারুকে একইভাবে জখম করেন দর্শকরা। সেই ঘটনার মর্মান্তিক পুনরাবৃত্তি ঘটল এবারও। দর্শকদের এহেন আচরণে লাগাম দিতে সর্বত্র সিসিটিভি বসিয়ে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। মৃত ক্যাঙ্গারুর স্মৃতি রক্ষার্থে তার দেহ চিড়িয়াখানার মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।