যখন গোটা বিশ্বের তাবড় দেশ মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করতে প্রস্তুত, তখন একমাত্র মাসুদকে এমন এক তকমার হাত থেকে বাঁচিয়ে চলেছে চিন। পুলওয়ামা হামলার পরও চিন মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তকমা দিতে নারাজ।
যখন চিনকে এ নিয়ে চাপ দেওয়া হয় তখনই চিনের তরফ থেকে একটাই যুক্তি উঠে এসেছে। মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ নেই। বুধবারও আন্তর্জাতিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গিয়ে কার্যত মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাগড়া দিল চিন। ফল হল একটাই। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ৪ স্থায়ী সদস্য রাজি থাকলেও চিনের বাধায় আপাতত থমকেই রইল মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা।
চিনের এই বাধাদানকে ভাল চোখে নিচ্ছে না ভারত। ভারতের তরফে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। চিনের এভাবে বারবার বাগড়া দেওয়ায় ভারত তো হতাশ বটেই, অন্যদিকে চিনের এই আচরণে ক্ষুব্ধ আমেরিকা। মার্কিন মুলুক এবার চিনকে শুনিয়েই হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে জানিয়ে দিয়েছে চিন এভাবে মাসুদ আজহার নিয়ে বাগড়া দিতে থাকলে তারা অন্য রাস্তায় হাঁটবে। ফলে আন্তর্জাতিকভাবে চিন কিন্তু ক্রমশ মাসুদকে কেন্দ্র করে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে।
চিনের এই প্রতিক্রিয়ার পর কংগ্রেস চিনের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে। রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীকে চিনের সামনে দুর্বল বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও তার পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। এদিন বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ পাল্টা চিনের এই বাড়বাড়ন্তের জন্য রাহুল গান্ধীর পরিবারকে কাঠগড়ায় চাপিয়েছেন।
জওহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে যখন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ দিতে চাওয়া হয় তখন তিনি নিজে চিঠি লিখে না করে দেন। বরং প্রস্তাব করেন ভারতের জায়গায় চিনকে এই সদস্য পদ দেওয়া হোক। তার পরে চিনই হয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। বিষয়টি টেনে এনে এদিন রাহুল গান্ধীকে একহাত নেন রবিশঙ্কর।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)