২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরে মুম্বই ভেসেছিল রক্তে। সেই শিউরে ওঠা সন্ত্রাসবাদী হামলার পর চিনের ১১ বছর লাগল তাকে ‘অন্যতম ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী হামলা’ হিসাবে চিহ্নিত করতে। অবশেষে গত সোমবার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে মুম্বই হামলাকে বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হমালার মধ্যে ফেলল চিন সরকার। সেই মুম্বই হামলা, যার পিছনে পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ বারবার ভারত তুলে দিয়েছে পাকিস্তানের হাতে।
সোমবার যে শ্বেতপত্র চিন সরকার প্রকাশ করেছে তাতে মুম্বই হামলাকে ২০০৫ সালে লন্ডনে বোমা বিস্ফোরণ, ২০১৫ সালে প্যারিস হামলা, ২০১৭ সালে সিনাইয়ে মসজিদে হামলার সঙ্গে একসঙ্গে রাখা হয়েছে। ফলে এই হামলাগুলির সঙ্গে একই গুরুত্ব পেয়েছে মুম্বই হামলা।
শ্বেতপত্রে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে চিন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুমুখো নীতি যারা নিচ্ছে তাদেরও সমালোচনা রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকারও প্রশংসা রয়েছে শ্বেতপত্রে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই দুমুখো নীতির বিরোধিতা করে আসলে চিনে নাম না করেই প্রচ্ছন্নে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার করেছে।
চিন সরকার শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করে গত সোমবার। উল্লেখযোগ্যভাবে ওদিনই আবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি চিনে পা রাখেন। ৩ দিনের সফরে চিনে যান তিনি।
চিন-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কুরেশির বৈঠকও রয়েছে। তারমাঝেই কিন্তু শ্বেতপত্রে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দুমুখো নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়াল চিন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা