পাহাড়ের গা জুড়ে গত শনিবারই ছড়িয়ে পড়েছিল দাবানল। পাথুরে এবড়ো খেবড়ো পাহাড়গুলোর গায়ে প্রচুর গাছ। একসঙ্গে গায়ে গায়ে অনেকগুলি পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে গাছের ঘন জঙ্গল। ফলে দাবানল ছড়াতে থাকে হুহু করে। সেইসঙ্গে ছিল শুকনো হাওয়ার দাপট। ফলে আগুন ছড়াচ্ছিল প্রবল গতিতে। দ্রুত আগুনের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে সেখানে পাঠানো হয় ৬৮৯ জন দমকলকর্মীকে। দুর্গম এলাকা। তারওপর আগুন জ্বলছে পাহাড়ের ৩ হাজার ৮০০ মিটার উচ্চতায়। ফলে সেই দুর্গম স্থানে আগুন নেভানোই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
শনিবার দমকলকর্মীরা কাজ শুরু করেন। রবিবার তাঁদের মধ্যে ৩০ জনের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সোমবার চিনের আপৎকালীন পরিস্থিতি মন্ত্রী সোশ্যাল সাইটে জানান ২৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতরা সকলেই যে দমকলকর্মী তা নিশ্চিত করে চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চলে। আগুন নেভাতে গিয়ে ২৬ জন দমকলকর্মীর মৃত্যুর খবরে চিনে শোকের ছায়া। এদিকে আগুনে কিন্তু তেমন নিয়ন্ত্রণ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
শনিবার আচমকাই চিনের সিচুয়ান প্রদেশের মুলি কাউন্টির এই পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় দাবানল নজর কাড়ে। দ্রুত স্থানীয়রা সেখান থেকে সরে যেতে থাকেন। যদিও জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা বিশেষ নেই। ইতিমধ্যেই ২টি সেনা হেলিকপ্টারে চিকিৎসকদের পাঠানো হয়েছে ওই এলাকায়। মূলত দমকলকর্মীরা আহত হলে তাঁদের চিকিৎসার কথা মাথায় রেখেই এই বন্দোবস্ত।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)