হাজার বার ডাকলেও শোনেন না ওয়েটাররা, মন ভালো করা এক রেস্তোরাঁ
এ রেস্তোরাঁ যথেষ্ট জনপ্রিয়। তবে রেস্তোরাঁয় ঢুকে গলা ফাটিয়ে ওয়েটার ওয়েটার করলেও কেউ আপনার দিকে ফিরেও চাইবে না। এর কারণটি অবশ্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
সকলে মিলে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেন। একটা সুন্দর সন্ধে কাটানো। পরিবারের সকলে মিলে একটা সুন্দর ডিনার। অনেকেই চান। কিন্তু রেস্তোরাঁয় ঢুকে গলা ফাটিয়ে ওয়েটার ওয়েটার করলেও কেউ আপনার দিকে ফিরেও চাইবে না। কেন জানেন?
কারণ এই রেস্তোরাঁর সব ওয়েটারই বধির। তাঁদের শ্রবণ ক্ষমতা নেই। এঁদের হাতে থাকে কার্ড। সেই কার্ড দিয়েই আপনাকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ইশারাও চলতে পারে।
এমন ভাবার কারণ নেই যে এত কষ্ট করে রেস্তোরাঁয় ওয়েটারকে ডাকতে যাব কেন! এমন ভাবনা মনেও আনার দরকার নেই। কারণ এ রেস্তোরাঁ যথেষ্ট জনপ্রিয়।
বহু মানুষ বারবার ফিরে আসেন এখানে। যেমন ভাল খাবার, তেমনই ওয়েটারদের ব্যবহার। কিন্তু ওই একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে ওয়েটাররা কিন্তু কেউই শুনতে পান না।
চিনের বেজিংয়ের ৭৯৮ নম্বর জেলার ‘ফরগিভ বারবিকিউ’ রেস্তোরাঁটি খুলেছে ২ বছর হল। এর মালিক ঠিক করেন এখানে তিনি যতজন ওয়েটার রাখবেন সকলেই হবেন বধির। অর্থাৎ কানে শুনতে না পেলেই এখানে ওয়েটারের জন্য বায়োডেটা পাঠানো যাবে।
মালিক লু লু-র মতে তিনি দেখেছিলেন চিনে বিশেষভাবে সক্ষমরা বয়স বাড়লে কাজ পান না। তাঁদের সুযোগ করে দিতেই এই কথা মাথায় আসে তাঁর। আর ২ বছর পার করে তাঁর রেস্তোরাঁ কিন্তু বেজায় চলছে।
ইতিমধ্যেই আশপাশে বেশ নাম কিনেছে এই রেস্তোরাঁ। খাবার তো ভালই। সেইসঙ্গে ওয়েটাররা সকলেই শুনতে অক্ষম হওয়ার কথা শুনে অনেকেই তা কেমন তা দেখতে হাজির হন।
তবে অখুশি হননা কেউই। কারণ কানে না শুনলেও ঠিকঠাক অর্ডার নেওয়া থেকে শেষে বিল দেওয়া। সবই দক্ষতার সঙ্গে করেন এখানকার ওয়েটাররা।
এখানে ওয়েটারের কাজ পেলেই যে পরদিন থেকে তিনি কাজে লেগে পড়তে পারেন তা নয়। তাঁদের সকলের টানা প্রশিক্ষণ চলে।
ইশারা কীভাবে বুঝবে, কার্ড দেখে কী বুঝে নিতে হবে। গ্রাহকদের যাতে তাঁদের অক্ষমতায় সমস্যা না হয়। সবই শেখানো হয় তাঁদের। তারপর কাজে যোগদান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা