আকাশ থেকে নেমে এসেছে একটা বিশাল ঘূর্ণি। যা অনেকটা এলাকা নিয়ে গোল হয়ে ঘুরছে। আর যা তার আওতার মধ্যে পাচ্ছে তাই নিজের ঘূর্ণিতে তুলে নিচ্ছে খেলনার মত। খড়কুটোর মত উড়ে যাচ্ছে গাড়ি, ইলেকট্রিক পোল। সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টি। এমনই এক দানবীয় চেহারা নিয়ে ছুটে আসে টর্নেডো। আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত চক্রাকার পাইপের মত সেই দানবের হাত থেকে রেহাই নেই কারও। গত বুধবার বিকেলে এমনই এক টর্নেডো কেড়ে নিল ৬টি প্রাণ। আহত ১৯০ জন।
চিনের কাইউয়ান এলাকায় স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে হাজির হয় মূর্তিমান বিভীষিকা। টর্নেডো হানা দেয় ওই এলাকায়। ১৫ মিনিট ধরে এলাকার ওপর দিয়ে পাস করে সেটি। তারপর চলে যায় আরও দক্ষিণ দিকে। এর মধ্যেই যা ধ্বংসলীলা চালানোর চালায় সেটি। ৬ জন প্রাণ হারান টর্নেডোর মধ্যে পড়ে। ১৯০ জন বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। তাঁদের কেউ ঘরের মধ্যে বসেও আহত। কেউ বাইরে। অগুনতি ইলেকট্রিক পোল উপড়ে দেয় টর্নেডো। ভারী ভারী গাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে আছাড় দিয়ে ফেলেছে। গাছ উপড়েছে। অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। পাকা বাড়ির কাচের জানালাগুলো ঝনঝন করে ভেঙে পড়েছে। গোটা শহরটাকে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে একটা ধ্বংসস্তূপের চেহারা দিয়েছে।
টর্নেডো চলে যাওয়ার পর চিনের কাইউয়ান এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্তও সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা যায়নি। গোটা এলাকা পরিস্কার করতে হিমসিম খাচ্ছেন পুরকর্মীরা। এখানকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কেরও প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। টর্নেডোর তাণ্ডবে ভারী মেশিন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা