পুরোদমে তখন কাজ চলছিল কয়লাখনিতে। খনিতে নেমে কয়লা উত্তোলনের কাজ করছিলেন ২৩ জন শ্রমিক। আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণ হয় খনিতে। দ্রুত হাজির হয় উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকারীরাই ৭ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে ওপরে তুলে আনেন। বাকি ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনের নিথর দেহই উদ্ধার করতে পেরেছেন উদ্ধারকারীরা। বাকি ২ জন শ্রমিকের এখনও খোঁজ নেই। তাঁদের দেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে চিনের গুইঝু প্রদেশের একটি কয়লাখনিতে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার সময় ঘটনাটি ঘটে। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়। চিনে অবশ্য কয়লাখনিতে দুর্ঘটনা নতুন নয়। কেন বিস্ফোরণ তা পরিস্কার নয়। তবে যাঁদের জীবিত বার করে আনা সম্ভব হয়েছে সেই শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে হয়তো এ সম্বন্ধে কিছু জানা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিনে হামেশাই এমন ঘটনা শোনা যায়। কয়লাখনিতে দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় শ্রমিকদের। শ্রমিকদের যথেষ্ট সুরক্ষা বন্দোবস্ত ছাড়াই এখানে বেশ কিছু খনি চলছে বলে আগেও অভিযোগ সামনে এসেছে। ২০১৮ সালেই চিনে ২২৪টি খনি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে চিনে। মৃত্যু হয় ৩৩৩ জন শ্রমিকের। চিনে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে কয়লাখনিতেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা