রবিবার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছিল ০২-০২-২০২০। এ এক অদ্ভুত প্যালিন্ড্রোম। অর্থাৎ উল্টোদিক থেকেও যা হবে, সোজা দিক থেকেও তাই হবে। এমন দিন গত ৯০০ বছরে আর আসেনি। তাই দিনটি নিয়ে নানা চর্চা হয়েছে। কিন্তু চিনে বিয়ের হিড়িক পড়েছে। সবাই চেয়েছেন রবিবার বিয়েটা সারতে। যেভাবেই হোক। কিন্তু কেন? কারণটা ওই সেই ডেট। আসলে চিনে জিরো আর টু, এই ২টি শব্দ চিন ভাষার উচ্চারণে কাছাকাছি। তবে মানেটা একদম আলাদা।
চিনা ভাষায় উচ্চারণে টু বললে তার মানে দাঁড়ায় লাভ অর্থাৎ ভালবাসা। আর জিরো বললে তার মানে দাঁড়ায় উই অর্থাৎ তোমাকে। সহজ কথায় টু-জিরো বললে চিনা ভাষায় শোনায় তোমায় ভালবাসি। এখানেই মজেছে গোটা চিনের মানুষ। চিন জুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক যখন মাথায় চড়ে নাচছে তখন তারমধ্যেই বিয়ের ফুল ফোটাতে রবিবার হৈহৈ পড়ে গেল। একটাই কারণ। ওই টু-জিরো, মানে তোমায় ভালবাসি।
চিনে রবিবার ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অফিস খোলা থাকেনা। কিন্তু চিনে যে ফেব্রুয়ারির ২ তারিখে বিয়ের হিড়িক পড়তে চলেছে তা আগেই পরিস্কার ছিল। তাই রবিবার বিশেষভাবে খোলা রাখা হয়েছিল সব ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অফিস। সেখানে বিয়ের হিড়িক পড়ে। বহু তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী হাজির হন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে। এমন একটা বিশেষ দিনে বিয়ে করার সুযোগ তাঁরা ছাড়তে নারাজ। যদিও সব স্বপ্ন সফল হয়নি। নাঃ, ভিড়ের জন্য নয়। চিনা প্রশাসনের তরফে কিছু ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা হয়। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ম্যারেজ অফিস খুলতে দেয়নি তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা