নভেম্বরেই করোনা প্রতিষেধক টিকা দেওয়া শুরু করতে পারে চিন
চিনে একাধিক করোনা প্রতিষেধক টিকা তৈরি হচ্ছে। যা তাদের দেশের সাধারণ মানুষকে দেওয়া শুরু হতে পারে নভেম্বরেই।
বেজিং : চিনে একাধিক করোনা প্রতিষেধক টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। চিনের সরকারি চ্যানেল সিসিটিভি-তে চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর প্রধান উ গুইঝেন জানিয়েছেন, সেসব টিকার উৎপাদনে জোর দেওয়া শুরু হতে চলেছে। যাতে তা সাধারণ মানুষকে দেওয়া যেতে পারে। সেজন্য বিপুল পরিমাণ উৎপাদন শুরু হচ্ছে। যা পরিস্থিতি তাতে আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরেই চিনের সাধারণ মানুষ করোনা প্রতিষেধক টিকা পেতে শুরু করবেন।
উ গুইঝেন দাবি করেছেন চিনের একাধিক করোনা প্রতিষেধক টিকা যেগুলি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে সেগুলি দারুণ ফল করছে। কোনও বাধা বিপত্তি ছাড়াই সেগুলি সাফল্য পাচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি পরীক্ষামূলক গ্রুপের তিনি সদস্য ছিলেন যাঁদের গত এপ্রিলে করোনা টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। তারপর এতদিন কেটে গেলেও তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা হয়নি বলে দাবি করেছে উ। তিনি আরও জানিয়েছেন শরীরের বিশেষ কোনও জায়গায় ব্যথাও তৈরি হয়নি।
গুইঝেন আরও দাবি করেছেন চিনের তৈরি করোনা প্রতিষেধক টিকা-র মেয়াদ ১ বছর থেকে ৩ বছর হতে পারে। তবে তার চেয়ে বেশিও হতে পারে। যা পরীক্ষা সাপেক্ষ। ফলে এটা পরিস্কার যে এই টিকা সাধারণ মানুষকে দেওয়া হলেও তা চিরন্তন হবে না।
রাশিয়া অগাস্ট মাসেই তাদের তৈরি একটি করোনা প্রতিষেধক টিকাকে সরকারিভাবে মান্যতা দিয়ে দিয়েছে। রাশিয়াতেও সাধারণ মানুষ খুব দ্রুত করোনা প্রতিষেধক টিকা পেতে চলেছেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বিখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা-র তৈরি করোনা প্রতিষেধক টিকা তৃতীয় পর্যায়ে একবার হোঁচট খেয়েছে। একজন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল পর্বে টিকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনকার জন্য বন্ধ করা হয় টিকা পরীক্ষা। তারপর ব্রিটেনে ফের চালু হয়েছে এই টিকার ট্রায়াল।
ভারতে তখন বন্ধ করা হলেও এখনও শুরু হয়নি। তবে জানা যাচ্ছে ভারতেও দ্রুত ফের ওই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা