ইতিহাস বদলাতে পারে ৬৪ লক্ষ বছর আগের বাঁদর
৬৪ লক্ষ বছর আগেও যে বাঁদর ছিল তার প্রমাণ মিলল। এ এক অনবদ্য আবিষ্কার বলে মনে করা হচ্ছে। যা হয়তো এশিয়ার ইতিহাস বদলে দিতে পারে।
এতদিন ধারণা ছিল আফ্রিকাতেই সবচেয়ে পুরনো বাঁদরের প্রমাণ মিলেছিল। কিন্তু বনমানুষের সময়ে যে এশিয়াতেও বাঁদর ছিল তার প্রমাণ মিলল।
যার মানে দাঁড়াল আফ্রিকা বলেই নয়, বনমানুষের যুগে পূর্ব এশিয়াতেও বাঁদর ছিল। যা বর্তমান সময়ের বাঁদরদের পূর্বপুরুষ বলা যেতে পারে। কারণ যে জীবাশ্ম উদ্ধার হয়েছে তা থেকে তেমনই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
চিনের ইউনান প্রদেশের শুইতাঙ্গবা লিগনাইট খনিতে কাজ করার সময় বাঁদরের জীবাশ্ম মিলেছে যেটি ৬৪ লক্ষ বছর পুরনো। যা থেকে এটা পরিস্কার হয় যে ৬৪ লক্ষ বছর আগেও বাঁদর ছিল। যে সময়টা বনমানুষদের যুগ হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
আরও যেটা উল্লেখযোগ্য যে এই বাঁদরের জীবাশ্ম এমন জায়গায় মিলল যেখানে সেই সময় বনমানুষ ছিল। একই জায়গায় মিলল বাঁদরেরও হদিশ। অর্থাৎ তখন বনমানুষ ও বাঁদর দুইই ছিল।
জীবাশ্ম থেকে ৬৪ লক্ষ বছরের পুরনো যে বাঁদরের হদিশ মিলেছে তার হাড় কেমন ছিল তা পরীক্ষা করার পর গবেষকেরা জানাচ্ছেন ওই সময়ও বাঁদরগুলি মাটিতে যত দ্রুত চলতে পারত, ততটাই পারদর্শী ছিল গাছে গাছে ঘুরে বেড়াতে। তাদের হাড়ের গঠন তাই বলছে।
তাদের হাড়ের গঠন তাদের কায়িক শক্তিরও পরিচায়ক। যা বুঝিয়ে দিয়েছে যে বাঁদরগুলি সে সময় যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল।
গবেষকরা ওই জীবাশ্ম পরীক্ষা করার সময় বাঁদরটির নিচের চোয়ালের হাড় ও পায়ের হাড়ের ওপরের অংশ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে ওই জীবাশ্ম একটি স্ত্রী বাঁদরের।
বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছেন যে বনমানুষ যুগে তারা সাধারণত ফল খেয়ে থাকত। কিন্তু এই যে বাঁদরের জীবাশ্ম মিলেছে তার দাঁতের গঠন পরীক্ষার পর গবেষকরা নিশ্চিত যে এই বাঁদরগুলি সে সময় বনমানুষদের মত কেবল ফলই খেত না। তারা গাছগাছড়াও খেত। ফুলও খেত।
৬৪ লক্ষ বছর আগেও এই বাঁদরগুলি অত্যন্ত সাধারণ খাবার থেকে সেলুলোজ শরীরের জন্য তৈরি করে নিতে পারত। যা তাদের এনার্জিতে কাজে লাগত।
বাঁদরগুলি বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ধরত। তাদের যে জলের কাছেই বাস করতে হত তা নয়। যে কোনও প্রাকৃতিক অবস্থায় তারা বাঁচার ক্ষমতা ধরত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা