বিদেশি দ্রব্যের সঙ্গে আসছে করোনা, বিদেশি জিনিস কিনতে বারণ প্রশাসনের
বিদেশ থেকে আসা মানুষজনের সঙ্গে আসছিল করোনা। এবার দেখা গেল বিদেশ থেকে জিনিসপত্রের সঙ্গেও ঢুকে পড়তে পারে করোনা। যার প্রমাণ মিলেছে।
বিদেশ থেকে কেউ এলে তাঁকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। নয়তো তাঁর স্বীকৃত করোনা প্রতিষেধক টিকার ২টি ডোজ নেওয়া থাকা দরকার। মানুষের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকলেও বিদেশ থেকে আসা জিনিসপত্রে এই কড়াকড়ি থাকেনা।
কারণ বিদেশ থেকে মানুষের শরীর করোনা বয়ে আনতে পারে, কিন্তু জিনিসপত্রও করোনা বয়ে আনতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এবার কিন্তু প্রমাণ হয়েছে যে জিনিসপত্রও করোনা বয়ে আনছে বাড়িতে। মানুষকে সংক্রমিত করছে।
মঙ্গোলিয়া থেকে চিনে জিনিসপত্র আসে। বিশেষত চিনের মঙ্গোলিয়ান প্রভাবিত এলাকা ইরেনহট শহরে বহু মঙ্গোলিয়ানের বাস। সেখানে মঙ্গোলিয়া থেকে জিনিসপত্র আমদানি হয়। সেসব জিনিস মানুষ কেনেন।
চিনা প্রশাসন সেসব জিনিস নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার জন্য পাঠায়। দেখা যায় সেসব জিনিসে করোনার জীবাণু রয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই ইরেনহট শহরের প্রশাসন শহরের বাসিন্দাদের বিদেশ থেকে আসা জিনিসপত্র কিনতে বারণ করেছে। কারণ বিদেশ থেকে আসা জিনিস শহরে করোনা ভাইরাসও আমদানি করছে।
ইরেনহট শহরের প্রশাসন এটাও বাসিন্দাদের জানিয়েছে যে যাঁরা ১৫ সেপ্টেম্বরের পর অতি করোনা প্রবণ কোনও দেশ থেকে আমদানি করা কোনও জিনিস কিনেছেন তাঁরা শহর প্রশাসনকে খবর দিন। যাতে সেই জিনিসগুলি সহ তাঁদের বাড়িকে স্যানিটাইজ করা সম্ভব হয়।
প্রসঙ্গত চিনে এখন নতুন করে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। ১৬টি প্রদেশে ফের শুরু হয়েছে করোনা বিধির কড়াকড়ি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা