এই পতঙ্গের জন্যই তৈরি হয় সুস্বাদু চকোলেট
চকোলেটের জন্মের পিছনে যে পোকার বিশেষ অবদান রয়েছে তাকে তো ভুললে চলবে না। গুবরে পোকার মতো দেখতে ডাঁশ পতঙ্গগুলোর ভূমিকা এক্ষেত্রে সর্বাধিক।
সব কিছুর ভাগ হবে, এ স্বাদের ভাগ হবেনা। হ্যাঁ, চকোলেটের কথাই এখানে বলা হচ্ছে। মিল্ক চকোলেট, ডার্ক চকোলেট কত কি আমরা খেতে ভালবাসি। কিন্তু সেই চকোলেটের জন্মের পিছনে যে পোকার বিশেষ অবদান রয়েছে তাকে তো ভুললে চলবে না।
পোকাটি হল চকোলেট ডাঁশ পতঙ্গ। আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্যভাগে, আফ্রিকা ও এশিয়ার কফি চকোলেট উৎপাদক অঞ্চলের কোকো বনভূমিতে তাদের দেখা পাওয়া যায়।
বিশ্বের সুস্বাদু চকোলেট মূলত পাওয়া যায় ‘মিজ পলিনেটস কোকো’ নামে বিশেষ প্রজাতির গাছ থেকে। সেই গাছের ফলের বীজ থেকেই উন্নতমানের চকোলেট তৈরি করা হয়।
কিন্তু পরাগমিলন না হলে তো কোনোকিছুই হবে না। সাধারণত কীটপতঙ্গ সেই পরাগ মিলনের কাজ করে থাকে। তবে ১ থেকে ৩ মিলিমিটারের খুদে অনেকটা গুবরে পোকার মতো দেখতে ডাঁশ পতঙ্গগুলোর ভূমিকা এক্ষেত্রে সর্বাধিক।
আকারে ছোটো পোকাগুলো খুব সহজে কোকো গাছের ফুলের ভিতরে সেঁধিয়ে যায়। তারপর এক গাছের ফুলের পরাগ অন্য গাছে বহন করার মধ্য দিয়ে আমাদের মুখে লোভনীয় চকোলেট তুলে দিতে সাহায্য করে।