চকোলেট এখন খাওয়া হলেও এক সময় সেটাই ছিল টাকা
চকোলেট বললেই জিভে জল এসে পড়ে। এমনই তার ভুবন ভোলানো স্বাদ। কিন্তু কেবল তা খাওয়ার জন্যই ব্যবহার হতনা। এক সময় সেটাই ছিল টাকা।
চকোলেট খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা কম। বিশ্বজুড়েই চকোলেটের কদর রয়েছে। নানা ধরনের চকোলেট সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে।
চকোলেট নানা ভাবে মানুষ খেয়ে থাকেন। বিশ্বজুড়ে চকোলেটের সুনাম তার স্বাদের জন্য। অন্য কোনও প্রয়োজনে নয়।
কিন্তু একটা সময় ছিল যে কোকোয়া বীজ থেকে চকোলেট তৈরি হয় সেই কোকোয়া বীজ ব্যবহার হত অন্য প্রয়োজনে। যার মূল্য ছিল অপরিসীম। তবে তা খাওয়ার জন্য বা স্বাদের জন্য নয়।
মায়া সভ্যতায় এই কোকোয়া বীজ ছিল বিনিময় মাধ্যম। অর্থাৎ তা দস্তুরমত অর্থ হিসাবে ব্যবহার হত। কিছু কিনতে গেলে যেমন টাকা দিতে হয়, তেমনই মায়া সভ্যতার সময় কোকোয়া ব্যবহার হত অর্থ রূপে। তা প্রদান করেই জিনিস কিনতে হত।
এই কারণে মায়া সভ্যতার সময় কোকোয়ার ফলনেও নিয়ন্ত্রণ আনা হয়। যত ইচ্ছে কোকোয়া গাছ লাগানো যেত না সেসময়। নাহলে তো বাড়িতে বা নিজের জমিতেই প্রচুর কোকোয়া ফলিয়ে ফেলবেন সকলে!
কোকোয়া ফলানো মানে তো তা সে সময় টাকা ছাপানোর শামিল ছিল! তাই কোকোয়া চাষে ছিল নিয়ন্ত্রণ। এমনকি সে সময় সোনার গুঁড়োর চেয়েও কোকোয়া মূল্যের দিক থেকে অনেক এগিয়ে ছিল।
যদিও কোকোয়া পরবর্তীকালে কেবল চকোলেট উৎপাদনের জন্যই ফলন করা হত। যা সারা বিশ্বের কাছে আজও রসনা তৃপ্তির এক অন্যতম উপায়।