রাত পোহালেই বড়দিন। তার আগের দিনটা শনিবার পড়ায় কার্যত সেলিব্রেশন শুরু হয়েছে গেল একদিন আগে থাকতেই। সকাল থেকেই চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, মিলেনিয়াম পার্ক, ইকো পার্ক, ময়দানে মানুষের ঢল নামে। ছুটি থাকায় দূর দূর থেকেও পরিবার নিয়ে অনেকেই হাজির একটু অন্য মেজাজে দিনটা উপভোগ করতে। সঙ্গে প্রচুর হুল্লোড় আর খাওয়া দাওয়া।
শহর জুড়ে নতুন প্রজন্মকেও পাওয়া গেল চেনা মেজাজেই। সকাল গড়িয়ে বিকেল নামলে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়ার মত জায়গায় ভিড় কমলেও ভিড় বাড়তে থাকে পার্ক স্ট্রিটে। প্রতি বছরের চেনা ছবির অন্যথা হয়নি এবছরও।
পার্ক স্ট্রিট আছে পার্ক স্ট্রিটেই। সন্ধে নামার অপেক্ষা। তারপরই পার্ক স্ট্রিটে তিল ধারণের জায়গা নেই। পার্ক স্ট্রিটে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বড়দিনের উৎসব শুরু হয়েছে আগে থেকেই। কিন্তু বড়দিনের আগের সন্ধ্যার মেজাজটাই আলাদা!
পার্ক স্ট্রিটের এই ভিড়ের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুলিশের তরফে নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। মোতায়েন রয়েছে আড়াই হাজার পুলিশ। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছে। ড্রোন দিয়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি। ২০০টি অস্থায়ী পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ১১টি ওয়াচ টাওয়ারও রয়েছে নজরদারিতে।
এদিকে ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টায় গির্জায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন সম্পূর্ণ হয়েছে সন্ধের আগেই। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কখন বেজে উঠবে জিঙ্গল বেল, জিঙ্গল বেল।
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা তো বটেই, প্রভু যিশুর জন্মদিনে মাতবে গোটা শহর। বেজে উঠবে ক্যারল। গির্জায় গির্জায় ঘণ্টাধ্বনি। আর শিশুকুল মাথার কাছে মোজা রেখে রাতে ঘুমোতে যাবে মধ্যরাতে তাদের অজান্তে সান্টা বুড়োর রেখে যাওয়া অজানা উপহারের উত্তেজনা বুকে করে।