সমুদ্র হোক বা পাহাড়, রাজ্যের কোণায় কোণায় সকাল থেকে বড়দিনের উৎসবের মেজাজটা কিন্তু প্রায় এক। বড়দিনের আগের ২ দিন ছিল শনি ও রবিবার। ফলে টানা ৩ দিনের ছুটিতে অনেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনস্থলে হাজির হয়েছিলেন। দিঘায় আবার চলছে বিচ ফেস্টিভ্যাল। প্রতি বছরই বছর শেষের দিঘা মেতে ওঠে এই বিচ ফেস্টিভ্যালে। দিঘার সমুদ্রকে সাক্ষী করে খাওয়া দাওয়া, হৈ হুল্লোড় মিলিয়ে আনন্দের বন্যায় ভাসেন পর্যটকরা।
শুধু দিঘা বলেই নয়, সুদূর দার্জিলিংয়েও এদিন সকালে চার্চগুলি সেজে উঠেছিল রঙিন সাজে। প্রভু যিশুর জন্মকথা ছোট ছোট মডেল সাজিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল এখানে। প্রবল শীত গায়ে মেখে মানুষের ঢলও ছিল চোখে পড়ার মত।
রাজ্যের প্রত্যেক কোণায় এদিন সকাল থেকেই চার্চে হাজির হন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী মানুষজন। প্রার্থনায় অংশ নেন। পরে সব ধর্মের মানুষই হাজির হন চার্চে। ঘুরে দেখেন রঙিন সাজ।
বিভিন্ন পিকনিক স্পটে এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিলনা। সব বুক অনেকদিন আগে থেকেই। সকালে মাটাডোর, গাড়ি, বাস বিভিন্ন যানে চড়ে পিকনিক করতে শহর ছেড়ে একটু দূরে পাড়ি দেন মানুষজন।
এখন বেশ কিছু পিকনিক স্পট হয়েছে যেখানে পিকনিকের জন্য বুকিং পিছু মেলে নির্দিষ্ট জায়গা। থাকে জলবিহার বা ছোটদের আনন্দ দেওয়ার হরেক বন্দোবস্ত। সব মিলিয়ে সকলে মিলে দারুণ একটা দিন কাটানো। ফলে বড়দিনে ঘরে থাকা নয়। ছোট বড় নির্বিশেষে দিনটা পছন্দের জায়গায় গিয়ে চুটিয়ে উপভোগ করলেন রাজ্যবাসী।