বড়দিনের সকাল থেকেই শহর কলকাতার বিভিন্ন চার্চে মানুষের ঢল নেমেছে। নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই বড়দিন উপলক্ষে সেজে ওঠে শহরের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গির্জা। প্রভু যিশুর জন্মক্ষণটা তুলে ধরা হয় বিভিন্ন মডেলের মধ্যে দিয়ে। খড় দিয়ে সাজানো হয় আস্তাবল। যে আস্তাবলে যিশুর জন্ম দেন মা মেরি।
আস্তাবলের খড়ের ওপর শোয়ানো ছোট্ট যিশু। আশপাশে মেষপালকরা দাঁড়িয়ে। তাঁরা উপহার দিয়েছেন সদ্যোজাতকে। আস্তাবলের মাথার ওপর ঝলমল করছে একটি অতি উজ্জ্বল তারা। এভাবে বেথলহেম শহরের অদূরে এক আস্তাবলে জন্ম হয়েছিল প্রভু যিশুর। সেই গাথাই তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন গির্জায়। ছোট্ট যিশুর পাশে এদিন অনেকেই গোলাপ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান।
রাতে বিশেষ প্রার্থনার পর এদিন সকালেও অনেক গির্জায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। আম জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয় গির্জার দরজা। বড়দিন উপলক্ষে সেজে ওঠা গির্জায় ভিড় জমান বহু মানুষ। নানা বয়সের ভিড়। অনেকে ছবিও তোলেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা
এদিন বাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রভু যিশুকে। অনেকে ঘুরে বেড়ান গির্জার চত্বরে। বিশেষত এই ছবি ধরা পড়ে কলকাতার সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রালের বিশাল সবুজ ঘেরা চত্বরে। বড়দিনের সকালে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, মিলেনিয়াম পার্ক, ইকো পার্কের বাইরে বিভিন্ন গির্জাও হয়ে ওঠে পর্যটন ক্ষেত্রে।