রাত পোহালেই বড়দিন। তার আগে ২৪ ডিসেম্বর মানেই ক্রিসমাস ইভ। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষা। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁলেই গির্জায় গির্জায় বেজে উঠবে ঘণ্টা। শুরু হবে বিশেষ প্রার্থনা। কেউ গির্জায় প্রভু যিশুকে উদ্দেশ্য করে প্রার্থনা করবেন। কেউ করবেন বাড়িতেই। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন এই দিনটার জন্য। প্রভু যিশুর জন্মদিনের জন্য। এদিন একদিকে যেমন গির্জায় প্রার্থনা চলবে তেমনই চারিদিকে উৎসব। সারা বিশ্বের কোণায় কোণায় শুরু হয়েছে উৎসব। মানুষ মেতে উঠেছেন আনন্দে। সেই আনন্দ উৎসবে সামিল কলকাতাও।
কলকাতার বো ব্যারাক থেকে পার্ক স্ট্রিট, সর্বত্রই মানুষ মেতে উঠেছেন আনন্দে। এখানে কোনও বিশেষ ধর্মের মানুষ নেই। সব ধর্মের মানুষই সামিল এই আনন্দযজ্ঞে। সকলেই নিজের মত করে আনন্দ করছেন। কেক খাচ্ছেন। আলোয় কনের সাজে সেজে ওঠা পার্ক স্ট্রিটে প্রবল ভিড়েও খুঁজে নিচ্ছেন নিজের মত করে আনন্দ। কেউ আনন্দ করছেন পরিবার নিয়ে। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে। কেউ বা এসেছেন প্রেমের বন্ধনে উৎসবের জিয়নকাঠি ছোঁয়াতে।
পার্ক স্ট্রিটের প্রায় সব রেস্তোরাঁই এই দিনটার অপেক্ষায় থাকে। এদিন সেখানে দম ফেলার ফুরসত নেই। রেস্তোরাঁয় প্রবেশের জন্য বাইরে বিশাল লাইন পড়ে। অনেকে নিছক পার্ক স্ট্রিট ঘুরতেই হাজির হন। এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত আলো, মানুষ, আনন্দ জোয়ার এসব দেখে ফিরে যান বাড়ি। শুধু শহর বলেই নয়, এদিন এ শহরে বড়দিনের আনন্দে যোগ দিতে কলকাতার বাইরে থেকেও বহু মানুষ হাজির হন।
কলকাতার পাশাপাশি গোটা দেশ এদিন এই আনন্দ উৎসবে সামিল। সামনে নতুন বছর হাতছানি দিচ্ছে। তার আগে এই দিনটাকে নিজের মত করে উপভোগ করতে চাইছেন সকলে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও উৎসবের আনন্দ পারদ চড়াচ্ছে। সারা বিশ্বের কাছেই দিনটা আনন্দের। কোথাও জলে ভেসে বেড়াচ্ছে সান্টা বুড়ো, তো কোথাও উপহারের ঝোলা নিয়ে সান্টা হাজির রাস্তায়। বিনোদন পার্কে সান্টা, রাস্তার মোড়ে সান্টা, মডেলে সান্টা, শিশুদের নিয়ে খেলতে ব্যস্ত সান্টা। এমন টুকরো ছবি সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নজর কেড়েছে। এদিন আবার সান্টাবুড়োর উপহারের আশায় শিশুরা মোজা রেখে দেবে ঘরে। রাতে কোনও ফাঁকে তারা যখন ঘুমোবে তখন সান্টা রেখে যাবে তার উপহার। ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঘুম থেকে উঠেই সেই উপহার নিয়ে এক চরম কৌতূহল অপেক্ষা করবে তাদের জন্য।