রাত পেরলেই বড়দিন। আর তার আগে ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর পরপর দুটো ছুটির দিন। উইকএণ্ড। ফলে বড়দিনের আনন্দ এবার ৩ দিনের হয়ে গেছে। বড়দিনের আগের রাতে কলকাতা যে বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে খুশিটা চেটেপুটে উপভোগ করে থাকে তা এ শহরের বাসিন্দাদের অজানা নয়। আর রাতজাগা রাতের গন্তব্য হয় পার্ক স্ট্রিট। বড়দিনের আগে থেকেই পার্ক স্ট্রিট সেজে ওঠে প্রতি বছর। এবারও তার অন্যথা হয়নি। চারদিক ভেসে যাচ্ছে আলোর বন্যায়। বেজে চলেছে ক্রিসমাস ক্যারল, বিদেশি গায়কগায়িকাদের গান। রাস্তা ভেসে যাচ্ছে রংবাহারি আলোর বন্যায়। আলো দিয়েই সাজানো মেরি ক্রিসমাসের অভিনন্দন।
এবার উইকএণ্ড হওয়ায় শনিবার থেকেই পার্ক স্ট্রিটে মানুষের ঢল নেমেছে। মাথায় আলোর শিং বা খরগোশ কানের ব্যান্ড লাগিয়ে মাতোয়ারা নতুন প্রজন্ম থেকে মধ্যবয়সীরা। বাবা মায়ের মাথায়ও আলো জ্বলছে, কোলের সন্তানের মাথায়ও। অথবা ভিড়ের মাঝে একান্তে সময় কাটানো প্রেমিক-প্রেমিকা। নিখাদ আনন্দে সবার মুখ খুশিতে উজ্জ্বল। গত শনিবার থেকেই জমে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট পাড়া। রবিবার ২৪ ডিসেম্বর। চিরাচরিতভাবেই এদিন সন্ধে নামলেই পার্ক স্ট্রিটে নামবে মানুষের ঢল। শীত পোশাকে মাথায় সান্টা টুপি পড়ে নির্মল আনন্দে মেতে উঠবে সব বয়স।
বাঙালির ১২ মাসের তেরো পার্বণে বড়দিনের পার্ক স্ট্রিট অবশ্যই একটি। এত মানুষের ঢল। তাই সুরক্ষার দিকটাও আঁটোসাঁটো রাখতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। এদিন পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকছেন ২ হাজার পুলিশকর্মী। এছাড়া থাকছেন অনেক সাদা পোশাকের পুলিশ। ভিড়ে মিশে নজরদারি চালাবেন তাঁরা। থাকছে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার। সবার গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখবে ১০০টি সিসিটিভি। এছাড়া থাকছে ২৬টি ট্রমা সেন্টার। পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায় এবার বন্ধ থাকছে যান চলাচল। বিকেল ৪টে থেকে বন্ধ থাকবে গাড়িঘোড়া। ফের যান চলাচল শুরু হবে রাত ১১টার পর।