ভোটের মুখে ভারতে জারি হয়ে গেল সিএএ
সামনে লোকসভা ভোট। তার আগে দেশে জারি হয়ে গেল সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে ভোটের চমক বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
৪ বছর আগেই বিল পাশ হয়ে গিয়েছিল। তারপর দীর্ঘ নিস্তব্ধতা কাটিয়ে ঠিক লোকসভা ভোটের মুখে দেশে সিএএ জারি করল কেন্দ্র। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২০ সাল থেকেই এই আইন কবে থেকে দেশে লাগু হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল।
কেন্দ্র অবশ্য সময় নিচ্ছিল। আইনের ধারা যোগ করা নিয়ে বিলম্বকে সামনে রেখে বিশেষ অনুমতি নিয়ে কেন্দ্র এই আইন লাগু ঠেকিয়ে রেখেছিল। অবশ্য তার মাঝে এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে দেশ।
বিশ্বজুড়ে করোনার ঢেউ ভারতেও আছড়ে পড়ে। এক আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দেশকে রক্ষার লড়াই চালাতে হয় কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারগুলিকে।
২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর পাশ হয় সিএএ। এই আইনে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী শরণার্থী মানুষজনকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা পরিস্কার হয়ে যায়।
যবে তাঁরা ভারতে প্রবেশ করেছেন সেই দিন থেকে তাঁদের ভারতীয় নাগরিক হিসাবে মান্যতা প্রদান করার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকই এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিএএ লাগু করার কথা জানিয়ে দিল।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩-এ অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে দেশে সিএএ লাগু হবেই। তিনি এই আইনের বিরোধী হিসাবে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তোলেন।
মমতা এই আইন নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও তোপ দাগেন অমিত শাহ। এদিন সিএএ লাগু হওয়ার পর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এই আইন লাগু করাকে ভোটের মুখে কেন্দ্রের চমক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা