ভারতে জন্ম নেওয়া এই হলুদ আঙুলগুলি কি জানলে চমকে যাবেন
বলা হয় ভারতেই এর জন্মস্থান। এখানেই প্রথম এর দেখা মিলেছিল। হুবহু হাতের আঙুল বলে মনে হলেও এগুলি কিন্তু আদপেও আঙুল নয়। তাহলে কি জানলে অবাকই হবেন।
এক ঝলক দেখলে এটাই মনে হবে যে অনেকগুলি হলুদ আঙুল। এমন আঙুল কোনও প্রাণির হতেই পারে। আঙুলের সংখ্যা ৫ থেকে ২০-র মধ্যে হয়। একে প্রচলিত ভাষায় বলা হয় বুদ্ধের হাত। কিন্তু হাতের আঙুলের সঙ্গে এমন সাদৃশ্য থাকলেও এগুলি কিন্তু আদপেও আঙুল নয়।
এর সঙ্গে শরীরের কোনও অঙ্গের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি আসলে একটি ফল। পৃথিবীর অন্যতম আজব দর্শন ফল। মনে করা হয় এটির জন্ম ভারতেই। তারপর তা ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে।
এই ফল দেখতে যেমন অবাক করা, তেমন এটি খাওয়াও মুশকিল। কারণ এতে তেমন শাঁস থাকেনা। তবে এর একটি বড় আকর্ষণ এর গন্ধ। এই বুদ্ধাজ হ্যান্ড ফলের গন্ধ মন ভাল করে দিতে পারে।
অনেকে এই ফল ছোট ছোট করে কেটে স্যালাডে খেয়ে থাকেন। পুজো দিতেও এই ফল ব্যবহার হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় জামাকাপড়কে সুগন্ধে ভরিয়ে তুলতে।
আবার রুম ফ্রেশনার হিসাবেও এর ব্যবহার প্রচলিত। এটি প্রাকৃতিক ভাবেই ঘরকে সুগন্ধে ভরিয়ে তুলতে পারে। কোনও কৃত্রিম সুগন্ধির দরকার পড়ে না।
বৈজ্ঞানিক নাম সাইট্রাস মেডিকা হলেও এই ফল নানা নামে পরিচিত। বুদ্ধাজ হ্যান্ড তো আছেই, সেইসঙ্গে এটি বুদ্ধাজ ফিঙ্গার নামেও পরিচিত। আবার জাপানে একে ডাকা হয় বুসুকান নামে। এমনকি ইউরোপেও এই ফল পৌঁছে গেছে।