মারণ কাদাধসে ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিল কলম্বিয়ার মোকোয়া শহর। ২৬০ জনের দেহ উদ্ধার হলেও মৃতের সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি বলেই দাবি স্থানীয়দের। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
গত শনিবার টানা বৃষ্টি চলছিল মোকোয়া সহ আশপাশের এলাকায়। একটানা বৃষ্টি। তাও আবার ঝেঁপে। বৃষ্টি গড়ায় রাতেও। এদিকে বৃষ্টি বিঘ্নিত মোকোয়ার মানুষ রাতে ঘুমোতে যান। বৃষ্টিতে ক্রমশ পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় বেয়ে জলে ধুয়ে গাছপালা পাথর নেমে আসে নিচের দিকে। সেইসঙ্গে প্রবল বেগে টানা বৃষ্টিতে আশপাশের নদীগুলো উপচে গিয়ে বন্যার জল মধ্যরাত থেকেই শহরে ঢুকতে শুরু করে।
জলের স্রোত ছিল ভয়ংকর। জলের সঙ্গেই ভেসে আসে প্রচুর আবর্জনা, পাথর, গাছপালা। জঙ্গলঘেরা শহরের প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ে। অনেক বাড়ি ধসে যায় জলের তোড়ে। বহু মানুষ জল কাদার প্লাবনে গাড়ি, গাছপালা বা পাথরের ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে যান।
কাদা বন্যার আক্রমণে অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে এসে আর্তনাদ শুরু করেন। কেউ ঈশ্বরের নাম জপতে থাকেন। কেউ আবার প্রিয়জনকে না খুঁজে পেয়ে তাঁদের নাম ধরেও ডাকতে শুরু করেন। ভয়ংকর পরিস্থিতিতে অনেকেই সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছতে না পেরে ধ্বংসস্তূপের আড়ালে চাপা পড়ে যান।
অবস্থা কিছুটা শান্ত হলে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। দেড় হাজার উদ্ধারকারী কাজ চালাচ্ছেন। যা পরিস্থিতি তাতে আরও বহু মানুষের দেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হবে বলেই মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল স্যান্টোস নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করেন।