World

ঘন জঙ্গলে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে ১১ মাসের শিশুকে বাঁচিয়ে রাখল ৩ বালক

টানা ১৭ দিন তাদের কোনও খোঁজ ছিলনা। তারাও ওই গহন জঙ্গল থেকে বার হতে পারেনি। কিন্তু ৩ বালক মিলে ১১ মাসের শিশুকে বাঁচিয়ে রাখল বুদ্ধির জোরে।

যথেষ্ট বর্ধিষ্ণু পরিবারের সন্তান তারা। যাচ্ছিল বিমানে। ছোট বিমানটিতে পাইলটকে নিয়ে ২ জন বড় ছিলেন। বাকি ওরা ৪ বাচ্চা। যাদের বয়স ১৩, ৯, ৪ এবং ১১ মাস।

সেসনা ২০৬ নামে বিমানটি একটি গহন জঙ্গলের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। তখনই আচমকা বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ভেঙে পড়ে ওই জঙ্গলেই। ওই ঘন জঙ্গলে বিমানটি ভেঙে পড়ার পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাইলট সহ ২ প্রাপ্তবয়স্কের। কিন্তু কোনওভাবে ওই ৪টি বাচ্চা রক্ষা পায়।


তারা বিমান থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু যাবে কোথায়? সেটাই স্থির করতে পারছিলনা। কারণ ওই জঙ্গল থেকে বার হওয়ার পথ তাদের অজানা। খোঁজাখুঁজি করেও তেমন কোনও পথের দেখা তারা পায়নি। কিছুই করার নেই বুঝে তারা নিজেরাই নিজেদের বাঁচার পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।

এদিকে ভেঙে পড়া বিমানটির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। দিনের পর দিন চলতে থাকে খোঁজ। অবশেষে কুকুরের সাহায্য নিয়ে যখন সেনাবাহিনী ও দমকলবাহিনীর উদ্ধারকারী দল জঙ্গলে সেই ভেঙে পড়া বিমানের কাছে পৌঁছয় তখন ১৭ দিন পার হয়ে গেছে।


সেখানে তারা ৩ জনের দেহ বিমানের মধ্যে থেকেই উদ্ধার করে। তারপর বাচ্চাদের খোঁজ করতে গিয়ে আধ খাওয়া ফলের সূত্র ধরে কুকুরটিই পৌঁছে যায় ওই ৪ জনের কাছে।

কলম্বিয়ার কাকিউটা প্রদেশের ওই জঙ্গলে ১১ মাসের শিশুটিকে বাঁচিয়ে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করল ৩ বালক? জানা গেছে, তারা বেঁচে যাওয়ার পর কাছেই গাছের ডালপালা, পাতা ইত্যাদি দিয়ে নিজেদের থাকার মত একটা ঘর বানিয়ে ফেলে। আর খাবারের চাহিদা পূরণ করার জন্য বেছে নেয় গাছের ফল। যা তাদের ১৭ দিন ধরে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে গহন জঙ্গলের পোকামাকড় থেকে জন্তু জানোয়ারের থেকে নিজেদের দূরে রাখে। এও এক আশ্চর্য রক্ষা বলেই মনে করছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button