বিশ্বের সবচেয়ে ঘিঞ্জি দ্বীপে নেই জল, বিদ্যুৎ, টয়লেট, হাসপাতাল
বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, নেই জলের সরবরাহ, নেই কোনও পুলিশ, অসুখ হলে হাসপাতালও নেই। চারধারে সমুদ্র। তবু এ ঘিঞ্জি দ্বীপে দিব্যি থাকেন মানুষজন।
অনেকে বলবেন বিনা পয়সায় থাকতে দিলেও এখানে থাকব না। খুব ভুলও হয়ত নয়। কারণ সেখানে পানীয় জলের সরবরাহটুকু নেই। নেই কোনও হাসপাতাল। কোনও পুলিশ নেই। নেই বিদ্যুৎ। নেই কোনও টয়লেট। নেই কোনও নিকাশি বন্দোবস্ত। এই নেইয়ের দ্বীপে কিন্তু মানুষের বাস পৃথিবীকে অবাক করে। কারণ এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ।
চারধারে সমুদ্র। তার মাঝে ২ একর জমি নিয়ে টিমটিম করছে একটা দ্বীপ। সেই দ্বীপেই প্রায় ১২০০ মানুষের বাস। গায়ে গায়ে এখানে বাড়ি লেগে থাকে। সামান্য ফাঁক গলে নিজের বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়।
শরীর খারাপ হলে একটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। সেখানেই যেটুকু চিকিৎসা। কোনও জলের পাইপ নেই। জল সরবরাহ হয়না। সমুদ্রপথে পানীয় জল আনতে হয়।
বিদ্যুৎ নেই। কিছু সোলার প্যানেল আছে। তাই দিয়ে যেটুকু বিদ্যুৎ জোটে। কোনও পুলিশ নেই এ দ্বীপে। তবে বলা হয় এখানে নাকি চুরি, ডাকাতিও হয়না। এই কিছু নেইয়ের দ্বীপেই কিন্তু ঠেসাঠেসি করে বাস করেন মানুষজন।
কলম্বিয়ার উত্তর অংশে রয়েছে সান্তাক্রুজ দেল ইসলোটে নামে এই দ্বীপ। যাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ বলা হয়। এ পৃথিবীতে দ্বীপের অভাব নেই। সেখানে অনেক মানুষ বাস করেন।
কিন্তু এভাবে চরম কষ্ট সহ্য করে, প্রতিদিনের জীবনযাপনটাই যেখানে একটা চ্যালেঞ্জ, সেখানে এত মানুষের এভাবে বাস অনেককেই অবাক করে।