রূপের যাদুতে সব নদীকে পিছনে ফেলে দেয় এই সুন্দরী নদী
স্থলভাগ জুড়ে নানা নদী বয়ে গেছে। এসব নদীর মধ্যে একটি নদীকে সবচেয়ে সুন্দরী নদী বলা হয়। নামটি যে ভুল নয় তা তার সামনে গেলেই বোঝা যায়।
নদী ছাড়া হয়তো পৃথিবীর স্থলভাগ শুকনো মরুভূমি হয়ে যেত। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জলের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি মেটাচ্ছে নদীই। নগর সভ্যতার পত্তনও এই নদীর হাত ধরেই। নদীর ধারেই তৈরি হয়েছে নানা বসতি, জনপদ।
গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, গোদাবরী, নর্মদার মত ভারতে যেমন অনেক নদী রয়েছে, তেমনই রয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের তাবড় শহর তৈরিই হয়েছে নদী পাশে থাকায়।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অজস্র নদীর মধ্যে একটি নদী সৌন্দর্যের নিরিখে সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। মনে হতেই পারে নদীর আবার আলাদা করে সৌন্দর্য কি! সব নদীই তো কম বেশি একই রকম।
এখানে বলে রাখা ভাল যে ক্যানো ক্রিস্টালিস কিন্তু এমন একটি নদী যার সঙ্গে অন্য কারও তুলনা চলেনা। অন্তত রূপের দিক থেকে নয়ই।
এই নদীতে নানা রং খেলা করে বেড়ায়। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, গোলাপি, কমলা এবং আরও এমন নানা রং এই নদীর দিক থেকে চোখ ফেরানো মুশকিল করে দেয়।
কলম্বিয়ার এই নদীটিকে অনেকে তার রংয়ের ছটার জন্য রামধনু নদী বলেও ডাকেন। এ নদীর রূপের যাদুতে মুগ্ধ হতে দূর দূর থেকে পর্যটকেরা ছুটে আসেন এর ধারে। ২ চোখ ভরে উপভোগ করেন এর বাহারি রংয়ের খেলা।
কীভাবে এমন রংয়ের যাদু ছড়িয়ে দিতে পারে এই নদী? বিজ্ঞানীরা বলছেন এই নদীতে এক ধরনের উদ্ভিদ রয়েছে। রিঙ্কোল্যাসিস ক্ল্যাভিজেরা নামে এই নদীর তলদেশে হয়ে থাকা গাছের জন্যই এই রংয়ের খেলা দেখতে পাওয়া যায়।