পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রদের ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে যেতে হল কলম্বিয়ার মেডেলিনের এক শিক্ষিকাকে। দোষী সাব্যস্ত শিক্ষিকাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। শিক্ষাজগতের কলঙ্ক ওই শিক্ষিকার নাম ইয়োকাস্তা এম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পড়াশোনায় সাহায্য করার নামে সে স্কুলের উঁচু ক্লাসের ছাত্রদের কাছে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চেয়ে নিত। এরপর সেইসব ছাত্রদের ফোনে অশ্লীল ছবি পাঠাতে শুরু করত ৪০ বছরের ওই শিক্ষিকা। স্বল্পবাস পোশাক পরা নিজের একশোর বেশি অর্ধনগ্ন উত্তেজক ছবি সে ছাত্রদের ফোনে পাঠাত। তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ছাত্রদের রীতিমত উত্যক্ত করত ইয়োকাস্তা। নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে তাদের সঙ্গে শরীরী খেলায় মেতে ওঠার আহ্বান জানাত ছাত্রদের। তার কথা না মানলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতে থাকত ইয়োকাস্তা।
২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এইভাবে ভয় দেখিয়ে ১৬-১৭ বছরের ছাত্রদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে মেতে ওঠে বিকৃতকাম ইয়োকাস্তা। শেষে কোনও এক ছাত্রের বাবা ফোনে ওই শিক্ষিকার মেসেজ দেখে ফেলেন। এরপরেই ফাঁস হয়ে যায় ইয়োকাস্তার কুকীর্তি। চাপের মুখে ওই ছাত্র বাড়িতে খুলে বলে সব কথা। কিভাবে দিনের পর দিন ইয়োকাস্তা তাকে ও তার বন্ধুদের শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে বাধ্য করত তা জানায় সে। আক্রান্ত ছাত্রদের অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত শিক্ষিকা। স্ত্রীর বিকৃত কর্মকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে আসতে ইয়োকাস্তার স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে এক বছর ধরে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন হয়রানি করার মামলা চলার পর অবশেষে রায় দেয় আদালত।