১২৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেওয়া ঠান্ডায় কাঁপছে পুরো শহর
১২৩ বছরে এত নিচে নামেনি পারদ। সেই ঠান্ডা এবার কিন্তু কার্যত মানুষজনের স্বাভাবিক জীবন কেড়ে নিতে বসেছে। এমন ঠান্ডা জীবনে দেখেননি কেউ।
যাঁরা দেখেছিলেন এর কাছাকাছি ঠান্ডা তাঁদের কেউই প্রায় বেঁচে নেই। কারণ সেই ঠান্ডা পড়েছিল ১৮৯৯ সালে। সেই সময় থেকে এই সময়। মাঝে পার হয়ে গেছে একটা শতাব্দী। বদলে গেছে বিশ্ব। কিছুটা বদলে গেছে জলবায়ুও।
১২৩ বছর পার করে যে ঠান্ডা এবার পড়ল তা ১৮৯৯ সালের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। যার হাত ধরে মানুষের স্বাভাবিক জীবন থমকে গিয়েছে। এমন ঠান্ডা এর আগে না দেখায় ঠান্ডা সামাল দিয়ে জীবন কাটানোর রাস্তা খুঁজছেন মানুষ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর রাজধানী শহর ডেনভারে ১৮৯৯ সালে ঠান্ডা রেকর্ড হয়েছিল মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। তারপর থেকে আর অত নিচে পারদ কখনও নামেনি। এবার কিন্তু নামল।
এবার পারদ ছুঁল মাইনাস ২১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে সেখানে এখন ঠান্ডার কামড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
গোটা শহরটাই বরফের চাদরে মোড়া। দৃশ্যমানতা কমেছে। ফলে গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ঠান্ডায়। বরফ পড়েই চলেছে। রাত দিন সবসময়ই বরফ পড়ছে।
এর মধ্যই আবার ধেয়ে আসছে একটি তুষারঝড়। যা আরও পরিস্থিতি প্রতিকূল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তা হলে বরফের স্তর আরও পুরু হবে। ৪ থেকে ১০ ইঞ্চি পুরু বরফের চাদরে ঢাকা পড়তে পারে পুরো ডেনভার শহর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা