মেঘ না চাইতেই জল, অকাল তুষারপাতে উধাও খরায় শুকিয়ে যাওয়া মাটি
খরা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে স্থানীয় মানুষজনকে যেন আচমকা দেবতার আশির্বাদের মত বাঁচিয়ে দিল অকালে হওয়া অঝোর তুষারপাত।
কেউ আশাও করেননি এ সময় এতটা তুষারপাত হতে পারে। তুষারপাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিচু এলাকায় হল প্রবল বৃষ্টিও। সব মিলিয়ে যথেষ্ট জলের যোগান পেয়ে গেল শুকিয়ে যাওয়া মাটি।
এমন আচমকা পাওনায় বেজায় খুশি স্থানীয়রা। ক্রমশ খরা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছিল। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছিল সকলের। এ সময় বৃষ্টি বা তুষারপাতের প্রশ্নই ওঠে না। সেখানে হঠাৎ হওয়া তুষারপাতে স্থানীয়রা হতবাক এবং খুশি।
এমনকি অনেকে তো বরফে ঢাকা চারধার দেখে বেরিয়ে আসেন। বরফ নিয়ে খেলায় মেতে ওঠেন। এমন অকালে এমন পুরু বরফের স্তর তো ভাবাই যায়না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো জুড়ে খরা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ংকর চেহারা নিচ্ছিল। কিন্তু পূর্ব কলোরাডোয় আচমকাই শুরু হয় বৃষ্টি ও তুষারপাত।
এভারগ্রিন বলে জায়গায় তো ১৯৬১ সালের পর এত তুষারপাত এই প্রথম হল। তাও শীতে নয়, একদম অসময়ে। এছাড়া পূর্ব ও উত্তর কলোরাডো, মন্টানা এবং বিখ্যাত ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক পুরু বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে।
খরা পরিস্থিতির পাশাপাশি গরম উধাও হয়ে ঠান্ডায় কনকন করছে চারধার। কোথাও ১৬ ইঞ্চি, কোথাও ৯ ইঞ্চি বরফের পুরু স্তর তৈরি হয়েছে।
গাছপালা, বাড়িঘর, রাস্তা ঘাট শীতকালের মত পুরু বরফের চাদরে হারিয়ে গেছে। চারিদিকে শুধু সাদা আর সাদা। ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে ৬ ফুট বরফের চাদর পড়েছে।
সব মিলিয়ে এই অকাল তুষারপাতে কলোরাডোর পূর্ব ও উত্তর ভাগে খরা পরিস্থিতি উধাও হয়েছে। তবে দক্ষিণ পশ্চিম কলোরাডো এখনও খরার কবলেই রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা