মার্কিন দেশের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সুন্দর ছোট্ট শহর পূর্ব গ্র্যানবি। অভিযোগ, সেই শহর বিশ্রীভাবে নোংরা করছিলেন এক মাঝবয়সী মহিলা। রাস্তায় ময়লা ফেললে না হয় একটা কথা ছিল! কিন্তু ময়লা নয়, শহরের যত্রতত্র মলত্যাগ করে সুন্দর শহরটাকে তিনি নোংরা করছিলেন।
অবশ্য প্রথমদিকে তাঁর সেই কুকীর্তির কথা কেউই জানতে পারেনি। গত বছরের নভেম্বর থেকে চুপিসারে রাস্তায় পেটের ভার নামিয়ে চলছিলেন ওই মহিলা। চলাচলের রাস্তায় মল পড়ে থাকতে দেখে স্বভাবতই বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন শহরবাসী।
এই নিয়ে ভূরিভূরি অভিযোগও জমা পড়ছিল পুলিশের কাছে। মলত্যাগকারিকে চিহ্নিত করতে অতএব সিসিটিভি ফুটেজের শরণাপন্ন হয় পুলিশ। অবশেষে শহরের কাল-দ্য-সাক রাস্তায় মেলে তার সন্ধান।
মলত্যাগকারিকে দেখে তাজ্জব বনে যান পুলিশের আধিকারিকরা। একি! প্রাণি তো নয়, এক মহিলা কিনা দিব্যি রাস্তার ওপর বসে মলত্যাগ করছেন! শুরু হয় ওই মহিলার খোঁজ। কানেকটিকাট প্রদেশের সিমসবারি শহরে মেলে তাঁর সন্ধান। ৪৩ বছরের হোলি মেলোনকে রাস্তায় মলত্যাগের অপরাধে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় অবশ্য নিজের ‘লঘু’ অপরাধের সাফাইও দেন ওই মহিলা।
তাঁর দাবি, তিনি ক’দিন ধরে দুগ্ধজাত খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বার হচ্ছিলেন। সেই খাবার তাঁর ঠিক সহ্য হচ্ছিল না। রাস্তায় বার হতেই তাঁর পেটে প্রচণ্ড চাপ তৈরি হচ্ছিল। কাছাকাছি কোন শৌচাগারও নেই যে সেখানে নিজেকে হাল্কা করে আসবেন। মহিলার দাবি, অতক্ষণ তো আর পেট চেপে থাকা যায় না। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তার ওপর মলত্যাগের কাজটা সেরে নিতেন তিনি।
অন্তত ৩ বার তিনি এমন কাজ করেছেন বলে দাবি ধৃত মহিলার। দায়িত্ববান নাগরিকের এহেন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের জন্য অবশ্য পুলিশ ছাড় দেয়নি ওই মহিলাকে। আপাতত জামিন পেলেও আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হবে মলত্যাগকারিণীর বিচার প্রক্রিয়া।