মন্ত্রিসভায় একগুচ্ছ রদবদল, নতুন মুখদের মন্ত্রিত্ব
যা ছিল তা অনেকটাই বদলে গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়া মন্ত্রিসভায় অনেক তাবড় নেতারই দফতর বদল হল। ভোটে না লড়েও মন্ত্রী হলেন অমিত মিত্র।
মমতা মন্ত্রিসভায় এবার অনেক দফতরের দীর্ঘদিনের মন্ত্রীরও দফতর বদল হয়ে গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি নিজের হাতেই রাখলেন তথ্য সংস্কৃতি দফতর, স্বাস্থ্য দফতর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, শরণার্থী দফতর, পুনর্বাসন দফতর। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের দায়িত্ব থাকা গৌতম দেব এবার হেরে যাওয়ায় এই দফতরও মমতা নিজের হাতেই রেখেছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষা দফতর থেকে সরিয়ে নতুন মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য দফতরে ফিরিয়ে আনা হল। এছাড়াও তাঁর হাতে রইল পরিষদীয় দফতর। সঙ্গে বাড়তি দায়িত্ব তথ্যপ্রযুক্তি।
প্রসঙ্গত ২০১১ সালে তৃণমূল যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে তখন পার্থবাবুকে শিল্প ও বাণিজ্য দফতরই দেওয়া হয়েছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা শিক্ষা দফতর এবার দেওয়া হল ব্রাত্য বসুর হাতে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় রয়ে গেলেন পঞ্চায়েত দফতরেই। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগের পর থেকে পরিবহণ দফতরে কোনও মন্ত্রী ছিলেন না। সেই পরিবহণ দফতর এবার দেওয়া হল ফিরহাদ হাকিমকে। সেইসঙ্গে তাঁর হাতে থাকছে আবাসন দফতরও।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাতেই রইল বিদ্যুৎ দফতর। কিন্তু দীর্ঘদিন খাদ্য দফতর সামলে আসা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ওই দফতর থেকে সরিয়ে সেখানে এবার বসানো হয়েছে রথীন ঘোষকে।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দেওয়া হয়েছে বন ও অচিরাচরিত শক্তি দফতর। ১০ বছর টানা খাদ্যমন্ত্রী থাকার পর ওই দফতর থেকে সরলেন জ্যোতিপ্রিয়। সাধন পাণ্ডে অবশ্য তাঁর উপভোক্তা বিষয়ক দফতরেই রয়ে গেছেন।
গত মন্ত্রিসভাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর এবার দেওয়া হল মহম্মদ গোলাম রব্বানির হাতে। অন্যদিকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে দেওয়া হল গণশিক্ষা ও পাঠাগার দফতর। জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী করা হয়েছে মানস ভুঁইয়াকে।