Feature

পৃথিবীরও চোখ আছে, কোথায় রয়েছে সেই চোখ

চোখ কি কেবল প্রাণিজগতেরই থাকে। পৃথিবীর কি চোখ থাকতে নেই। পৃথিবীরও চোখ আছে। সে চোখ দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমান।

জীবজগতের যে কোনও প্রাণিই হোক, চোখ প্রায় সবারই আছে। ব্যতিক্রম বাদ দিলে চোখ থাকাটাই স্বাভাবিক। মানুষেরও আছে। আবার এই মানুষই পৃথিবীর চোখ খুঁজে বার করেছে।

পড়ে মনে হতেই পারে পৃথিবী তো একটা জল, স্থলের গোলক! তার আবার চোখ কি! কিন্তু পৃথিবীরও চোখ রয়েছে। দিব্যি রয়েছে। চাইলে যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন, দেখে আসতে পারেন পৃথিবীর চোখ।


ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতপ্রাচীর হল দিনারা। এখানেই সৃষ্টি হয়েছে সেখানকার সবচেয়ে লম্বা নদী ডালমাসিয়ার। এই ডালমাসিয়া নদী সৃষ্টি হয়েছে আবার একটি প্রস্রবণ থেকে। এই প্রস্রবণটি রয়েছে সেটিনা নামে একটি ছোট গ্রামের কাছে।

এটি এমনভাবে তৈরি যে উপর থেকে দেখলে মনে হবে যেন একটা চোখ। নীল আর সবুজে মেশা এক অদ্ভুত রংয়ের চোখ। যা কিছুটা ঢুকে যাওয়ার পর রয়েছে জল।


সেই জল যে কোথায় গভীরে গিয়ে শেষ হয়েছে তা এখনও অজানা। তবে ডুবুরিরা ১১৫ মিটার পর্যন্ত জলের নীচে নেমেছেন। আশপাশটা সবুজে ঘেরা। অনেকটাই প্রকৃতির মাঝে।

তবে তার চারধার দিয়ে কাঁচা রাস্তা রয়েছে। সে পথ ধরে কিছুটা গেলেই গ্রামের বাড়িঘর। এই প্রস্রবণের চেহারা এমন যে তাকে উপর থেকে দেখলে চোখের মত লাগে। যা প্রকৃতি নিজের হাতে যত্ন করে তৈরি করেছে।

এটাই পৃথিবীর চোখ বলে পরিচিত। ক্রোয়েশিয়ার সেটিনা গ্রামে সারাবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে এই পৃথিবীর চোখ স্বচক্ষে দেখার জন্য।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button