পুরো জঙ্গলটাই যেন মাছ ধরছে, জঙ্গলে ঢুকলে চারধারে নজর কাড়ে রহস্যময় গাছ
একটা জঙ্গল। চারিধারে গাছ। তবে বেশ সুন্দর করে সারি দিয়ে রয়েছে তারা। এসব তো স্বাভাবিক। তবে এ জঙ্গলে ঢুকে চারধার দেখে অনেকে তাজ্জব হয়ে যেতে পারেন।
জঙ্গল মানেই তো গাছ। জঙ্গল ২ ভাবে তৈরি হতে পারে। একটি তো প্রকৃতির দান। যা পৃথিবীর বুকে বহু বহু বছর ধরে রয়ে গেছে। আবার কিছু জঙ্গল হয় যা প্রকৃতি তৈরি করেনা। তৈরি করে মানুষ। কোনও বিশেষ লক্ষ্যকে সামনে রেখে তা তৈরি করা হয়।
এ জঙ্গল সেভাবেই তৈরি করা। ১৯৩০ সালে বৃক্ষরোপণের মধ্যে দিয়ে এই প্রান্তরকে গাছে ভরে ফেলা হয়। সবুজ হয়ে যায় চারধার। এই জঙ্গল তৈরি করতে সে সময় ৪০০টি পাইন গাছ পোঁতা হয়েছিল।
পাইন গাছের জঙ্গল তো অনেক আছে। তাহলে এর বিশেষত্বটা কি? এই জঙ্গলের বিশেষত্ব হল এর গাছ। প্রতি গাছের গুঁড়ি প্রায় ৯০ ডিগ্রিতে বেঁকে আছে। দেখে মনে হবে এটাই বুঝি এই পাইন গাছের বিশেষত্ব। কিন্তু তা নয়।
এমন পাইন গাছ প্রকৃতিগত ভাবে হয়না। বরং এই পাইন গাছগুলি দেখে মনে হবে যেন মাছ ধরার আঁকশি। মাছ ধরার জন্য যে ছিপ ব্যবহার হয় তাতে একধরনের বাঁকানো আঁকশি থাকে। যাতে মাছ আটকে যায়।
এই জঙ্গলের পাইন গাছগুলির কাণ্ড এমন আঁকশির মত দেখতে। দেখে মনে হবে পুরো জঙ্গলটাই যেন মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হয় গাছগুলি যখন পোঁতা হয় তখন মানুষই এই গাছগুলির কাণ্ডের কাছটা কোনও যন্ত্রের সাহায্যে এমন বিশেষ আকৃতির করে দিয়েছিল।
আবার অনেকে মনে করেন এখানে হওয়া তুষারঝড়ের ধাক্কায় এমন আকৃতি নিয়েছিল গোটা জঙ্গল। তবে এক এক রকম তত্ত্ব সামনে এলেও এটা পরিস্কার নয় যে ঠিক কি কারণে গাছগুলির এমন চেহারা। এটা আজও রহস্য।
পোল্যান্ডের গ্রাইফিনো শহরের কাছে নোভে জারনোভো গ্রামের কাছে রয়েছে এই জঙ্গল। যাকে ডাকা হয় ক্রুকেড ফরেস্ট নামে।